17. জগৎকে নির্জন স্থানের মত করতো,দুনিয়ার সমস্ত নগর উৎপাটন করতো,বন্দীদেরকে বাড়ি যেতে দিত না?’
18. জাতিদের সমস্ত বাদশাহ্, সকলেই সসম্মানে,প্রত্যেকে স্ব স্ব কবরে শয়ন করছেন;
19. কিন্তু তুমি নিজের কবর-স্থান থেকে দূরে নিক্ষিপ্ত,কুৎসিত তরুশাখার মত, তুমি সেই নিহতদের দ্বারা আচ্ছাদিত,যারা তলোয়ারে বিদ্ধ, যারা গর্তের প্রস্তর রাশিতে নেমে যায়;তুমি পদদলিত লাশের মত হয়েছ।
20. তুমি ওঁদের সঙ্গে কবরস্থ হবে না;কারণ তুমি নিজের দেশ ধ্বংস করেছ,নিজের লোকদের হত্যা করেছ;দুর্বৃত্তদের বংশের নাম কোন কালে নেওয়া হবে না।
21. তোমরা ওর সন্তানদের জন্য বধ্যস্থান প্রস্তুত কর,ওদের পূর্বপুরুষদের অপরাধের জন্য;তারা উঠে দুনিয়া অধিকার না করুক,দুনিয়াকে নগরে পরিপূর্ণ না করুক।
22. আর বাহিনীগণের মাবুদ বলেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াব; আমি ব্যাবিলনের নাম ও অবশিষ্টাংশ, পুত্র ও পৌত্রকে মুছে ফেলব, মাবুদ এই কথা বলেন।
23. আর আমি ঐ নগর শজারুদের জায়গা ও জলাভূমি করবো, ধ্বংসের ঝাঁটা দিয়ে আমি তাকে ঝাড়ু দেব, এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন।
24. বাহিনীগণের মাবুদ শপথ করে বলেছেন, অবশ্যই, আমি যেমন সঙ্কল্প করেছি, তেমনি ঘটবে; আমি যে মন্ত্রণা করেছি, তা স্থির থাকবে।
25. ফলত আমার দেশে আসেরিয়াকে ভেঙ্গে ফেলবো, আমার পর্বতমালায় তাকে পদদলিত করবো; তাতে লোকদের কাঁধ থেকে তার জোয়াল দূর হবে এবং তাদের ঘাড় থেকে তার ভার সরে যাবে।
26. সমস্ত দুনিয়ার বিষয়ে এই পরিকল্পনা স্থির হয়েছে ও সমস্ত জাতির উপরে এই হাতই বাড়ানো রয়েছে।
27. কারণ বাহিনীগণের মাবুদ পরিকল্পনা করেছেন, কে তা ব্যর্থ করবে? তাঁরই হাত বাড়ানো রয়েছে, কে তা ফিরাবে?
28. যে বছর বাদশাহ্ আহসের মৃত্যু হয়, সেই বছরের এই ভবিষ্যদ্বাণী।
29. হে ফিলিস্তিন, যে দণ্ড তোমাকে প্রহার করতো, তা ভেঙ্গে গেছে বলে সর্বসাধারণে আনন্দ করো না; কেননা সেই মূল সাপ থেকে কেউটিয়া সাপ উৎপন্ন হবে এবং জ্বলন্ত উড়ুক্কু সাপ তার ফল হবে।
30. দীনহীনদের জ্যেষ্ঠ সন্তানেরা ভোজন করবে ও দরিদ্ররা নির্ভয়ে শয়ন করবে; আর আমি দুর্ভিক্ষ দ্বারা তোমার মূল হনন করবো এবং তোমার অবশিষ্টাংশ হত হবে।
31. হে তোরণদ্বার, হাহাকার কর; হে নগর, কাঁদ; হে ফিলিস্তিন, তুমি বিলীন, তোমার সমসস্ত কিছু বিলীন; কেননা উত্তর দিক থেকে ধোঁয়া আসছে, আর ওর শ্রেণী থেকে কেউ সরে যায় না।