12. হে শুকতারা! ঊষা-নন্দন!তুমি তো বেহেশত থেকে পড়ে গেছ!হে জাতিদের নিপাতনকারী,তুমি ছিন্ন ও ভূপাতিত হয়েছ!
13. তুমি মনে মনে বলেছিলে,‘আমি বেহেশত আরোহণ করবো,আল্লাহ্র নক্ষত্রগুলোর উপরে আমার সিংহাসন উন্নত করবো;জমায়েত-পর্বতে, উত্তর দিকের প্রান্তে, উপবিষ্ট হব;
14. আমি মেঘরূপ উচ্চস্থলীর উপরে উঠবো,আমি সর্বশক্তিমানের মত হব।’
15. তোমাকে তো নামান হল পাতালে,গর্তের গভীরতম তলে।
16. তোমাকে দেখলে লোকে একদৃষ্টিতে তোমার প্রতি নিরীক্ষণ করবে,তোমার বিষয়ে বিবেচনা করবে,‘এ কি সেই পুরুষ, যে দুনিয়াকে কম্পান্বিত করতো,সমস্ত রাজ্য বিচলিত করতো,
17. জগৎকে নির্জন স্থানের মত করতো,দুনিয়ার সমস্ত নগর উৎপাটন করতো,বন্দীদেরকে বাড়ি যেতে দিত না?’
18. জাতিদের সমস্ত বাদশাহ্, সকলেই সসম্মানে,প্রত্যেকে স্ব স্ব কবরে শয়ন করছেন;
19. কিন্তু তুমি নিজের কবর-স্থান থেকে দূরে নিক্ষিপ্ত,কুৎসিত তরুশাখার মত, তুমি সেই নিহতদের দ্বারা আচ্ছাদিত,যারা তলোয়ারে বিদ্ধ, যারা গর্তের প্রস্তর রাশিতে নেমে যায়;তুমি পদদলিত লাশের মত হয়েছ।
20. তুমি ওঁদের সঙ্গে কবরস্থ হবে না;কারণ তুমি নিজের দেশ ধ্বংস করেছ,নিজের লোকদের হত্যা করেছ;দুর্বৃত্তদের বংশের নাম কোন কালে নেওয়া হবে না।
21. তোমরা ওর সন্তানদের জন্য বধ্যস্থান প্রস্তুত কর,ওদের পূর্বপুরুষদের অপরাধের জন্য;তারা উঠে দুনিয়া অধিকার না করুক,দুনিয়াকে নগরে পরিপূর্ণ না করুক।
22. আর বাহিনীগণের মাবুদ বলেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াব; আমি ব্যাবিলনের নাম ও অবশিষ্টাংশ, পুত্র ও পৌত্রকে মুছে ফেলব, মাবুদ এই কথা বলেন।
23. আর আমি ঐ নগর শজারুদের জায়গা ও জলাভূমি করবো, ধ্বংসের ঝাঁটা দিয়ে আমি তাকে ঝাড়ু দেব, এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন।
24. বাহিনীগণের মাবুদ শপথ করে বলেছেন, অবশ্যই, আমি যেমন সঙ্কল্প করেছি, তেমনি ঘটবে; আমি যে মন্ত্রণা করেছি, তা স্থির থাকবে।
25. ফলত আমার দেশে আসেরিয়াকে ভেঙ্গে ফেলবো, আমার পর্বতমালায় তাকে পদদলিত করবো; তাতে লোকদের কাঁধ থেকে তার জোয়াল দূর হবে এবং তাদের ঘাড় থেকে তার ভার সরে যাবে।
26. সমস্ত দুনিয়ার বিষয়ে এই পরিকল্পনা স্থির হয়েছে ও সমস্ত জাতির উপরে এই হাতই বাড়ানো রয়েছে।
27. কারণ বাহিনীগণের মাবুদ পরিকল্পনা করেছেন, কে তা ব্যর্থ করবে? তাঁরই হাত বাড়ানো রয়েছে, কে তা ফিরাবে?