12. আমি উত্তম সোনা থেকেও মানুষকে, ওফীরের সোনা থেকেও মানুষকে দুষ্প্রাপ্য করবো।
13. এজন্য আমি আসমানকে কম্পান্বিত করবো এবং বাহিনীগণের মাবুদের ক্রোধে ও তাঁর জলন্ত গজবের দিনে দুনিয়া টলয়মান হয়ে স্থানচ্যুত হবে।
14. তাতে তাড়ানো হরিণের মত ও রাখালহীন ভেড়ার মত লোকেরা প্রত্যেকে নিজ নিজ জাতির প্রতি ফিরবে, প্রত্যেকে নিজ নিজ দেশের দিকে পালিয়ে যাবে।
15. যে কারো উদ্দেশ পাওয়া যাবে, সে অস্ত্রবিদ্ধ হবে; ও যে কেউ ধরা পড়বে, সে তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়বে।
16. আর তাদের চোখের সামনে তাদের শিশুদেরকে আছাড় মারা হবে, তাদের বাড়ি লুট করা হবে ও তাদের স্ত্রীরা বলাৎকৃত হবে।
17. দেখ, আমি তাদের বিরুদ্ধে মাদীয়দেরকে উত্তেজিত করবো; তারা রূপা তুচ্ছ করবে ও সোনা নিয়েও আনন্দ করবে না।
18. তাদের তীরন্দাজেরা যুবকদেরকে হত্যা করবে এবং তারা শিশুদের প্রতি করুণা করবে না, বালক বালিকাদের প্রতি মমতা দেখাবে না।
19. আর ব্যাবিলন— রাজ্যগুলোর সেই রত্ন ও কল্দীয়দের গর্বের সেই লাবণ্য— আল্লাহ্কর্তৃক উৎপাটিত সাদুম ও আমুরার মত হবে।
20. তার মধ্যে আর কখনও বসতি হবে না, পুরুষপুরুষানুক্রমে সেই স্থানে কেউ বাস করবে না, আরবীয়েরাও সে স্থানে তাঁবু ফেলবে না, ভেড়ার রাখালেরাও সেখানে নিজ নিজ পাল শয়ন করাবে না।
21. কিন্তু সেই স্থানে বন্যপশুরা শয়ন করবে; আর তাদের সমস্ত বাড়ি চিৎকারকারী জন্তুতে পরিপূর্ণ হবে, উটপাখিরা সেখানে বাসা করবে ও ছাগলেরা নাচবে।