6. আমি তাকে এক আল্লাহ্বিহীন জাতির বিরুদ্ধে পাঠাব, আমার গজব-পাত্র লোকদের বিরুদ্ধে হুকুম দেব, যেন সে লুট করে ও লুণ্ঠিত দ্রব্য নিয়ে যায় ও তাদেরকে পথের কাদার মত পায়ে মাড়ায়।
7. কিন্তু তার সঙ্কল্প সেই রকম নয়, তার হৃদয় তা ভাবে না; বরং সর্বনাশ করা এবং অনেক জাতিকে উচ্ছিন্ন করা তার মনস্কামনা।
8. কারণ সে বলে, ‘আমার শাসনকর্তারা কি সকলে বাদশাহ্ নন?
9. কল্নো কি কর্কমীশের মত নয়? হমাৎ কি অর্পদের মত নয়? সামেরিয়া কি দামেস্কের মত নয়?
10. সেসব মূর্তির রাজ্য আমার হস্তগত হয়েছে, সেগুলোর খোদাই-করা মূর্তি জেরুশালেম ও সামেরিয়ার মূর্তিগুলো অপেক্ষা উত্তম;
11. আমি সামেরিয়া ও তার মূর্তিগুলোর প্রতি যেমন করেছি, জেরুশালেম ও তার মূর্তিগুলোর প্রতিও কি তেমন করবো না?’
12. অতএব এরকম ঘটবে; সিয়োন পর্বতে ও জেরুশালেমে প্রভু তাঁর সমস্ত কাজ সমাপ্ত করার পর আমি আসেরিয়ার বাদশাহ্র উদ্ধত গর্বের ও গর্বিত দর্পের প্রতিফল দেব।
13. কেননা সে বলেছে, ‘আমার হাতের বল ও আমার বিজ্ঞতা দ্বারা আমি কাজ সিদ্ধ করেছি, কেননা আমি বুদ্ধিমান; আমি জাতিদের সীমাগুলো দূর করেছি ও তাদের সঞ্চিত ধন লুট করেছি; এবং যারা সিংহাসনে বসে আছে আমি বীরের মতই তাদেরকে নিচে নামিয়েছি।
14. আর পাখির বাসার মত জাতিদের ধন আমার হস্তগত হয়েছে; লোকে যেমন পরিত্যক্ত ডিম কুড়ায়, তেমনি আমি সমস্ত দুনিয়াকে সংগ্রহ করেছি; পাখা নাড়তে, বা ঠোঁট খুলতে, বা চিঁ চিঁ আওয়াজ করতে কেউ ছিল না।’
15. কুড়াল কি কুঠুরের বিরুদ্ধে অহংকার করবে? করাত কি করাত ব্যবহারকারী থেকে নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করবে? যারা দণ্ড দেয়, দণ্ড যেন তাদেরকে চালনা করছে; যে কাঠ নয়, লাঠি যেন তাকে চালাচ্ছে।
16. অতএব প্রভু, বাহিনীগণের মাবুদ, তার স্থূলকায় লোকদের মধ্যে কৃশতা প্রেরণ করবেন ও তার প্রতাপের নিচে জলন্ত শিখার মত আগুন জ্বলবে।