13. কারণ ছাগল ও ষাঁড়ের রক্ত এবং যারা নাপাক হত তাদের উপরে ছিটানো বক্না বাছুরের ভস্ম যদি দৈহিকভাবে তাদের পাক-সাফ করে থাকে,
14. তবে, যিনি অনন্তজীবী রূহ্ দ্বারা নির্দোষ কোরবানী হিসেবে নিজেকেই আল্লাহ্র উদ্দেশে কোরবানী করেছেন, সেই মসীহের রক্ত তোমাদের বিবেককে মৃত ক্রিয়াকলাপ থেকে নিশ্চয়ই কত না বেশি পাক-সাফ করবেন, যেন তোমরা জীবন্ত আল্লাহ্র এবাদত করতে পার।
15. আর এই কারণে তিনি এক নতুন নিয়মের মধ্যস্থ হয়েছেন, যেন প্রথম নিয়মের অধীনে যারা অপরাধ করেছে, তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে তাদের তিনি সেই গুনাহ্ থেকে মুক্তি দিতে পারেন, আর যারা আহ্বান পেয়েছে তারা অনন্তকালীন উত্তরাধিকার বিষয়ক প্রতিজ্ঞার ফল লাভ করে।
16. কেননা যেখানে উইল থাকে, সেখানে যিনি উইল করেছেন তার মৃত্যু হওয়া আবশ্যক।
17. কারণ মৃত্যু হলেই উইল স্থির হয়, যেহেতু উইলকারী জীবিত থাকতে তা কখনও বলবৎ হয় না।
18. সেজন্য ঐ প্রথম নিয়মের সংস্কারও রক্ত ছাড়া হয় নি।
19. কারণ মূসার মধ্য দিয়ে লোকদের কাছে শরীয়তের সমস্ত হুকুম দেওয়া শেষ হলে পর, তিনি পানি ও লাল রংয়ের ভেড়ার লোম ও এসোবের সঙ্গে বাছুর ও ছাগলের রক্ত নিয়ে কিতাবটিতে ও সমস্ত লোকদের শরীরে ছিটিয়ে দিলেন,
20. বললেন, “এটি সেই নিয়মের রক্ত, যে নিয়ম আল্লাহ্ তোমাদের উদ্দেশে হুকুম করলেন।”
21. আর তিনি তাঁবুতে ও সেবাকাজের সমস্ত সামগ্রীতেও সেভাবে রক্ত ছিটিয়ে দিলেন।
22. আর শরীয়ত অনুসারে প্রায় সমস্ত কিছুই রক্ত দ্বারা পাক-পবিত্র হয় এবং রক্তসেচন ছাড়া গুনাহের মাফ হয় না।
23. ভাল, যে সমস্ত জিনিস বেহেশতী বিষয়ের দৃষ্টান্ত, সেগুলোর ক্ষেত্রে ঐ সমস্ত বিষয় দ্বারা পাক-পবিত্র হওয়া আবশ্যক ছিল; কিন্তু যে সমস্ত বিষয় স্বয়ং বেহেশতী, সেগুলোর তা থেকে শ্রেষ্ঠ কোরবানী দ্বারা পাক-পবিত্র হওয়া আবশ্যক।
24. কেননা মসীহ্ মানুষের হাতের তৈরি পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেন নি— এ তো প্রকৃত বিষয়গুলোর প্রতিরূপ মাত্র— কিন্তু বেহেশতেই প্রবেশ করেছেন, যেন তিনি এখন আমাদের পক্ষে আল্লাহ্র সাক্ষাতে দাঁড়াতে পারেন।