1. এই “শালেমের বাদশাহ্ মাল্কীসিদ্দিক, সর্বশক্তিমান আল্লহ্র ইমাম, যিনি, ইব্রাহিম যখন বাদশাহ্দের হারিয়ে দিয়ে ফিরে আসলেন, তিনি তখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ও তাঁকে দোয়া করলেন”,
2. এবং ইব্রাহিম তাঁকে “সমস্ত জিনিসের দশ ভাগের এক ভাগ” দিলেন। প্রথমে তাঁর নামের তাৎপর্য হল, তিনি “ধার্মিকতার বাদশাহ্”, পরে “শালেমের বাদশাহ্”, অর্থাৎ “শান্তির বাদশাহ্”;
3. তাঁর পিতা নেই, মাতা নেই, বংশ-তালিকাও নেই, আয়ুর আদি বা জীবনের অন্ত নেই; কিন্তু তিনি আল্লাহ্র পুত্রের মত; তিনি চিরকালের ইমাম।
4. বিবেচনা করে দেখ, তিনি কেমন মহান, যাঁকে সেই পিতৃকুলপতি ইব্রাহিম উত্তম উত্তম লুটদ্রব্য নিয়ে দশ ভাগের এক ভাগ দান করেছিলেন।
5. আর লেবীর সন্তানদের মধ্যে যারা ইমামত্ব লাভ করে, তারা শরীয়ত অনুসারে লোকদের কাছ থেকে অর্থাৎ নিজের ভাইদের কাছ থেকে দশ ভাগের এক ভাগ গ্রহণ করার বিধি পেয়েছে, যদিও তারা ইব্রাহিমের বংশ থেকে উৎপন্ন হয়েছে;
6. কিন্তু এই মাল্কীসিদ্দিক তাদের বংশের না হয়েও ইব্রাহিমের কাছ থেকে দশ ভাগের এক ভাগ নিয়েছিলেন এবং প্রতিজ্ঞাগুলোর সেই অধিকারী ইব্রাহিমকে দোয়া করেছিলেন।
7. এতে কোন সন্দেহের কোন অবকাশ নেই যে, নিম্নতম ব্যক্তি উচ্চতম ব্যক্তি কর্তৃক দোয়া লাভ করে।
8. আবার একদিকে দেখা যায়, মরণশীল মানুষ দ্বারাই দশ ভাগের এক ভাগ আদায় করা হয়, কিন্তু অন্য দিকে দেখা যায়, তিনি দশ ভাগের এক ভাগ আদায় করেছেন, যাঁর বিষয়ে এমন সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে যে, তিনি নিত্যজীবী।