2. তিনি অজ্ঞ ও ভ্রান্ত সকলের প্রতি কোমল ব্যবহার করতে সমর্থ, কারণ তাঁর মধ্যেও দুর্বলতা আছে;
3. এবং সেই দুর্বলতার কারণে যেমন জনগণের গুনাহের জন্য, তেমনি নিজের গুনাহ্র জন্যও নৈবেদ্য কোরবানী করা তাঁর অবশ্য কর্তব্য।
4. আর কেউ সেই সম্মান নিজের উপর আরোপ করে না, কিন্তু আল্লাহ্ কর্তৃক আহ্বান পেয়েই তা পায়; হারুনও সেইভাবে পেয়েছিলেন।
5. তেমনি মসীহ্ও মহা-ইমাম হবার জন্য নিজে নিজেকে গৌরবান্বিত করেন নি, কিন্তু তিনিই করেছিলেন, যিনি তাঁকে বললেন,“তুমি আমার পুত্র,আমি আজ তোমাকে জন্ম দিয়েছি।”
6. একই ভাবে অন্য গজলেও তিনি বলেন,“তুমিই মাল্কীসিদ্দিকের রীতি অনুসারেঅনন্তকালীন ইমাম।”
7. যিনি মৃত্যু থেকে তাঁকে রক্ষা করতে সমর্থ, তাঁরই কাছে ঈসা এই দুনিয়াতে থাকবার সময়ে তীব্র আর্তনাদ ও অশ্রুপাত সহকারে মুনাজাত ও ফরিয়াদ করেছিলেন এবং তাঁর ভক্তির কারণে তিনি তাঁর মুনাজাতের উত্তর পেয়েছিলেন।
8. যদিও তিনি আল্লাহ্র পুত্র ছিলেন, তবুও দুঃখভোগের মধ্য দিয়ে বাধ্যতা শিক্ষা করেছিলেন;
9. এবং নিজ সিদ্ধতায় চালিত হয়ে যারা তাঁর বাধ্য তাদের সকলের অনন্ত নাজাতের কারণ হয়ে উঠলেন;
10. আল্লাহ্ কর্তৃক মাল্কীসিদ্দিকের রীতি অনুযায়ী মহা-ইমাম বলে আখ্যায়িত হলেন।
11. এই সমস্ত বিষয়ে আমাদের অনেক কথা বলার আছে, তার অর্থ ব্যক্ত করা দুষ্কর, কারণ তোমরা সহজে বুঝতে পার না।
12. বস্তুত এতকালের মধ্যে শিক্ষক হওয়া তোমাদের উচিত ছিল, কিন্তু তার পরিবর্তে তোমাদেরকে আল্লাহ্র দৈববাণীর প্রাথমিক নীতিগুলো শিক্ষা দেয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে। তোমরা এমন লোক হয়ে পড়েছ, যাদের দুধের প্রয়োজন, শক্ত খাবার নয়।
13. কেননা যে দুগ্ধপোষ্য, সে তো ধার্মিকতার শিক্ষায় অভ্যস্ত নয়; কারণ সে শিশু।
14. কিন্তু শক্ত খাবার সেই পরিপক্ক বয়স্কদেরই জন্য, যারা প্রচুর অভ্যাস করার মধ্য দিয়ে ভাল-মন্দ বিচার করতে শিখেছে।