9. তোমরা নানা রকম অদ্ভুত শিক্ষা দ্বারা বিপথে চালিত হয়ো না; কেননা হৃদয় যে রহমত দ্বারা শক্তিশালী হয় তা ভাল, খাদ্যের বিষয়ে নানা নিয়ম-কানুনের দ্বারা নয়, কারণ যারা খাদ্যের নিয়ম-কানুনের উপর নির্ভর করে চলতো তাদের কোন লাভ হয় নি।
10. আমাদের একটি কোরবানগাহ্ আছে এবং তাঁবুর সেবকদের সেই কোরবানগাহ্র সামগ্রী ভোজন করার কোন অধিকার নেই।
11. কারণ যে যে পশুর রক্ত গুনাহ্-কোরবানীর জন্য মহা-ইমাম পবিত্র স্থানের ভিতরে নিয়ে যান, সেই সমস্ত পশুর দেহ শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
12. এই কারণে ঈসাও নিজের রক্ত দ্বারা লোকবৃন্দকে পবিত্র করার জন্য নগর-দ্বারের বাইরে মৃত্যু ভোগ করলেন।
13. অতএব এসো, আমরা তাঁর দুর্নাম বহন করতে করতে শিবিরের বাইরে তাঁর কাছে গমন করি।
14. কারণ এখানে আমাদের চিরস্থায়ী নগর নেই; কিন্তু আমরা সেই ভাবী নগরের খোঁজ করছি।
15. অতএব এসো, আমরা তাঁরই দ্বারা আল্লাহ্র উদ্দেশে নিয়মিতভাবে প্রশংসা-গজল উৎসর্গ করি, অর্থাৎ ওষ্ঠাধরের ফল যা তার নাম স্বীকার করে।
16. আর উপকার ও সহভাগিতার কাজ ভুলে যেও না, কেননা সেই রকম কোরবানীতে আল্লাহ্ প্রীত হন।
17. তোমরা তোমাদের নেতাদের হুকুম পালন কর ও বশীভূত হও, কারণ হিসাব দিতে হবে বলে তাঁরাই তোমাদের প্রাণের জন্য প্রহরীর কাজ করছেন। তাঁরা যেন আনন্দপূর্বক সেই কাজ করতে পারেন, দুঃখিত মনে তা না করেন। যদি দুঃখের সঙ্গে তা করতে হয় তবে তোমাদের পক্ষে তা মঙ্গলজনক হবে না।
18. আমাদের জন্য মুনাজাত কর, কেননা আমরা নিশ্চয় জানি, আমাদের সৎবিবেক আছে, সমস্ত বিষয়ে সদাচরণ করতে ইচ্ছা করছি।
19. আমি বিনতিপূর্বক তোমাদেরকে মুনাজাত করতে বলছি যেন আমাকে শীঘ্রই তোমাদের কাছে পুনরায় দেওয়া হয়।
20. আর শান্তির আল্লাহ্, যিনি অনন্তকাল স্থায়ী নিয়মের রক্ত দ্বারা সেই মহান পাল-রক্ষককে, আমাদের প্রভু ঈসাকে, মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়ে এনেছেন,
21. তিনি নিজের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য তোমাদেরকে সমস্ত উত্তম বিষয়ে পরিপক্ক করুন। তাঁর দৃষ্টিতে যা প্রীতিজনক ঈসা মসীহ্ দ্বারা তা আমাদের অন্তরে সম্পন্ন করুন। যুগে যুগে তাঁর মহিমা হোক। আমিন।
22. হে ভাইয়েরা, তোমাদেরকে ফরিয়াদ করছি, তোমরা এই উপদেশ সহ্য কর; আমি তো সংক্ষেপে তোমাদেরকে লিখলাম।
23. এই কথা জেনো যে, আমাদের ভাই তীমথি মুক্তি পেয়েছেন; তিনি যদি শীঘ্র আসেন, তবে আমি তাঁর সঙ্গে তোমাদেরকে দেখতে আসবো।