24. ঈমানের জন্যই মূসা বড় হবার পর ফেরাউনের কন্যার পুত্র বলে আখ্যাত হতে অস্বীকার করলেন;
25. তিনি গুনাহের অস্থায়ী সুখভোগের চেয়ে বরং আল্লাহ্র লোকদের সঙ্গে দুঃখভোগ মনোনীত করলেন;
26. তিনি মিসরের সমস্ত ধনের চেয়ে মসীহের দুর্নাম মহাধন জ্ঞান করলেন, কেননা তিনি পুরস্কারদানের প্রতি দৃষ্টি রাখতেন।
27. ঈমানের জন্যই তিনি মিসর ত্যাগ করলেন, বাদশাহ্র রাগকে ভয় করেন নি, কারণ যিনি অদৃশ্য তাঁকে যেন দেখেই স্থির থাকলেন।
28. ঈমানের জন্যই তিনি ঈদুল ফেসাখ ও রক্ত ছিটাবার নিয়ম পালন করেছিলেন, যেন প্রথমজাতদের সংহারকর্তা তাদেরকে স্পর্শ না করেন।
29. ঈমানের জন্যই লোকেরা শুকনো ভূমির মত লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে গমন করলো, কিন্তু মিসরীয়রা সেই চেষ্টা করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মরলো।
30. ঈমানের জন্যই জেরিকোর প্রাচীর সাত দিন প্রদক্ষিণ করা হলে পর তা পড়ে গেল।
31. ঈমানের জন্যই পতিতা রাহব শান্তির সঙ্গে গুপ্তচরদের অভ্যর্থনা করাতে, অবাধ্যদের সঙ্গে বিনষ্ট হল না।
32. আর বেশি কি বলবো? গিদিয়োন, বারক, শামাউন, যিপ্তহ এবং দাউদ ও শামুয়েল ও নবীদের কথা বলতে গেলে সময়ের অকুলান হবে।
33. ঈমান দ্বারা এঁরা নানা রাজ্য পরাজিত করলেন, ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করলেন, নানা প্রতিজ্ঞার ফল লাভ করলেন, সিংহদের মুখ বন্ধ করলেন,
34. আগুনের তেজ নিভিয়ে ফেললেন, তলোয়ারের মুখ এড়ালেন, দুর্বলতা থেকে শক্তি লাভ করলেন, যুদ্ধে বিক্রমশালী হলেন, বিজাতীয়দের সৈন্যশ্রেণী তাড়িয়ে দিলেন।
35. নারীরা নিজ নিজ মৃত লোককে পুনরুত্থান দ্বারা ফিরে পেয়েছিলেন; অন্যেরা প্রহার দ্বারা নিহত হলেন, মুক্তি গ্রহণ করেন নি, যেন শ্রেষ্ঠ পুনরুত্থানের ভাগী হতে পারেন।