15. আর যে দেশ থেকে বের হয়েছিলেন, সেই দেশ যদি মনে রাখতেন, তবে ফিরে যাবার সুযোগ অবশ্য পেতেন।
16. কিন্তু এখন তাঁরা আরও উত্তম দেশের, অর্থাৎ বেহেশতী দেশের, আকাঙক্ষা করছেন। এজন্য আল্লাহ্ নিজেকে তাঁদের আল্লাহ্ বলতে লজ্জিত নন; কারণ তিনি তাঁদের জন্য একটি নগর প্রস্তুত করেছেন।
17. ঈমানের জন্যই ইব্রাহিম পরীক্ষিত হয়ে ইস্হাককে কোরবানী করেছিলেন; এমন কি, যিনি ওয়াদাগুলো সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন, তিনি নিজের সেই একজাত পুত্রকে কোরবানী করছিলেন,
18. যাঁর বিষয়ে তাঁকে বলা হয়েছিল, “ইস্হাকের বংশই তোমার বংশ বলে আখ্যাত হবে”;
19. তিনি মনে স্থির করেছিলেন, আল্লাহ্ মৃতদের মধ্য থেকেও উত্থাপন করতে সমর্থ; আবার তিনি সেখান থেকে দৃষ্টান্ত হিসেবে তাঁকে ফিরে পেলেন।
20. ঈমানের জন্যই ইস্হাক আগামী বিষয়ের উদ্দেশেও ইয়াকুবকে ও ইস্কে দোয়া করলেন।
21. ঈমানের জন্যই ইয়াকুব মৃত্যুকালে ইউসুফের উভয় পুত্রকে দোয়া করলেন এবং তাঁর লাঠির অগ্রভাগে ভর করে আল্লাহ্র এবাদত করলেন।
22. ঈমানের জন্যই ইউসুফ মৃত্যুকালে বনি-ইসরাইলদের প্রস্থানের বিষয়ে উল্লেখ করলেন এবং তাঁর মৃতদেহের বিষয়ে হুকুম দিলেন।
23. ঈমানের জন্যই মূসা জন্ম নিলে পর, তিন মাস পর্যন্ত তাঁর পিতা-মাতা গোপনে প্রতিপালন করলেন, কেননা তাঁরা দেখলেন শিশুটি সুন্দর; আর বাদশাহ্র হুকুমকে ভয় করলেন না।
24. ঈমানের জন্যই মূসা বড় হবার পর ফেরাউনের কন্যার পুত্র বলে আখ্যাত হতে অস্বীকার করলেন;
25. তিনি গুনাহের অস্থায়ী সুখভোগের চেয়ে বরং আল্লাহ্র লোকদের সঙ্গে দুঃখভোগ মনোনীত করলেন;
26. তিনি মিসরের সমস্ত ধনের চেয়ে মসীহের দুর্নাম মহাধন জ্ঞান করলেন, কেননা তিনি পুরস্কারদানের প্রতি দৃষ্টি রাখতেন।
27. ঈমানের জন্যই তিনি মিসর ত্যাগ করলেন, বাদশাহ্র রাগকে ভয় করেন নি, কারণ যিনি অদৃশ্য তাঁকে যেন দেখেই স্থির থাকলেন।
28. ঈমানের জন্যই তিনি ঈদুল ফেসাখ ও রক্ত ছিটাবার নিয়ম পালন করেছিলেন, যেন প্রথমজাতদের সংহারকর্তা তাদেরকে স্পর্শ না করেন।
29. ঈমানের জন্যই লোকেরা শুকনো ভূমির মত লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে গমন করলো, কিন্তু মিসরীয়রা সেই চেষ্টা করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মরলো।
30. ঈমানের জন্যই জেরিকোর প্রাচীর সাত দিন প্রদক্ষিণ করা হলে পর তা পড়ে গেল।
31. ঈমানের জন্যই পতিতা রাহব শান্তির সঙ্গে গুপ্তচরদের অভ্যর্থনা করাতে, অবাধ্যদের সঙ্গে বিনষ্ট হল না।