ইবরানী 10:21-36 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

21. এবং আল্লাহ্‌র গৃহের উপরে নিযুক্ত মহান এক ইমামও আমাদের আছেন;

22. এজন্য এসো, আমরা খাঁটি অন্তরে বিশ্বাসের পূর্ণ নিশ্চয়তায় আল্লাহ্‌র কাছে উপস্থিত হই; আমাদের অন্তরকে তো রক্ত ছিটিয়ে মন্দ থেকে মুক্ত করা হয়েছে এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে আমাদের শরীরকে ধোয়া হয়েছে;

23. এসো, আমাদের প্রত্যাশার অঙ্গীকার অটল করে ধরি, কেননা যিনি ওয়াদা করেছেন, তিনি বিশ্বস্ত;

24. এবং এসো, আমরা পরস্পরের প্রতি মনোযোগ করি, যেন মহব্বত ও সৎকর্মের সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করে তুলতে পারি;

25. এবং যেমন কারো কারো অভ্যাস আছে তেমনি নিজেরা সভায় এক সঙ্গে মিলিত হওয়া বাদ না দিই— বরং পরস্পরকে চেতনা দিই; আর তোমরা মসীহের দিন যত বেশি সন্নিকট হতে দেখছো, ততই যেন বেশি এই বিষয়ে তৎপর হই।

26. কারণ সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পেলে পর যদি আমরা স্বেচ্ছাপূর্বক গুনাহ্‌ করি, তবে গুনাহ্‌র জন্য আর কোন কোরবানী অবশিষ্ট থাকে না,

27. কেবল থাকে বিচারের ভয়ঙ্কর প্রতীক্ষা এবং বিপক্ষদেরকে গ্রাস করতে উদ্যত আগুনের প্রচণ্ডতা।

28. কেউ মূসার শরীয়ত অমান্য করলে তাকে দুই বা তিন জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ফলে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়;

29. ভেবে দেখ, যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র পুত্রকে পদতলে দলিত করেছে এবং নিয়মের যে রক্ত দ্বারা সে পবিত্র হয়েছিল, তা অপবিত্র জ্ঞান করেছে এবং রহমতের রূহের অপমান করেছে, সে কত না বেশি নিশ্চয় ঘোরতর দণ্ডের যোগ্য হবে!

30. কেননা এই কথা যিনি বলেছেন, তাঁকে আমরা জানি, “প্রতিশোধ দেওয়া আমারই কাজ, আমিই প্রতিফল দেব;” আবার, “প্রভু তাঁর লোকবৃন্দের বিচার করবেন।”

31. জীবন্ত আল্লাহ্‌র হাতে পড়া কি ভয়ানক বিষয়!

32. তোমরা বরং আগের সেই বিষয় স্মরণ কর, যখন তোমরা আলো পেয়ে নানা দুঃখভোগরূপ ভারী সংগ্রাম সহ্য করেছিলে,

33. একে তো তিরস্কারে ও কষ্ট ভোগে কৌতুকাস্পদ হয়েছিলে, তাতে আবার সেই রকম দুর্দশাপন্ন লোকদের সহভাগী হয়েছিলে।

34. কেননা তোমরা বন্দীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছিলে এবং নিজ নিজ সম্পত্তির লুট হয়ে যাওয়াকে আনন্দের সঙ্গেই মেনে নিয়েছিলে, কারণ তোমরা জানতে, তোমাদের আরও উত্তম সম্পত্তি আছে, আর তা চিরস্থায়ী।

35. অতএব তোমাদের সেই সাহস ত্যাগ করো না, যা মহা পুরস্কারযুক্ত।

36. কেননা তোমাদের ধৈর্য ধরা প্রয়োজন আছে, যেন আল্লাহ্‌র ইচ্ছা পালন করে প্রতিজ্ঞার ফল লাভ কর।

ইবরানী 10