8. জেনে রাখ, কোন সৎকর্ম করলে প্রত্যেক ব্যক্তি, সে গোলাম হোক বা স্বাধীন হোক, প্রভুর কাছ থেকে তার ফল পাবে।
9. আর তোমরা যারা মালিক, তোমরা তাদের প্রতি তেমনি ব্যবহার কর, ভর্ৎসনা ত্যাগ কর এবং জেনে রাখ, তাদের এবং তোমাদেরও প্রভু বেহেশতে আছেন, আর তিনি কারো মুখাপেক্ষা করেন না।
10. শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁর শক্তির পরাক্রমে বলবান হও।
11. আল্লাহ্র সমস্ত যুদ্ধের সাজ-পোশাক পর যেন শয়তানের নানা রকম চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াতে পার।
12. কেননা রক্তমাংসের সঙ্গে নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সঙ্গে, কর্তৃত্ব সকলের সঙ্গে, এই অন্ধকারের দুনিয়ার অধিপতিদের সঙ্গে, আসমানের গুনাহ্গার রূহ্দের সঙ্গে আমাদের মল্লযুদ্ধ হচ্ছে।
13. এজন্য তোমরা আল্লাহ্র সমস্ত যুদ্ধের সাজ-পোশাক গ্রহণ কর, যেন সেই অধর্মের দিনের প্রতিরোধ করতে এবং সকলই সম্পন্ন করে দাঁড়িয়ে থাকতে পার।
14. অতএব সত্যের কোমরবন্ধনী কোমরে বেঁধে, ধার্মিকতার বুকপাটা পরে,
15. এবং শান্তির ইঞ্জিল তবলিগের জন্য পায়ে জুতা পরে দাঁড়িয়ে থাক;
16. এসব ছাড়া ঈমানের ঢালও গ্রহণ কর, যার দ্বারা তোমরা সেই শয়তানের সমস্ত জ্বলন্ত তীর নিভিয়ে ফেলতে পারবে;
17. এবং নাজাতের শিরস্ত্রাণ ও পাক-রূহের তলোয়ার, অর্থাৎ আল্লাহ্র কালাম গ্রহণ কর।
18. সব রকম মুনাজাত ও ফরিয়াদ সহকারে পাক-রূহের দ্বারা চালিত হয়ে সব সময়ে মুনাজাত কর। এজন্য সমপূর্ণ সজাগ থাক ও সমস্ত পবিত্র লোকের জন্য ফরিয়াদ সহকারে মিনতি কর।
19. আমার জন্যও মুনাজাত কর যেন মুখ খুলবার উপযুক্ত বক্তৃতা আমাকে দেওয়া হয়, যাতে আমি সাহসপূর্বক সেই ইঞ্জিলের নিগূঢ়তত্ত্ব জানাতে পারি,
20. যার জন্য আমি শিকলে বাঁধা পড়েও রাজদূতের কাজ করছি; যেমন কথা বলা আমার উচিত, তেমনি যেন সেই বিষয়ে সাহস দেখাতে পারি।
21. আর আমি কেমন আছি ও কি কি কাজ করছি তা যেন তোমরাও জানতে পার তা তুখিক, যিনি প্রভুতে প্রিয় ভাই ও বিশ্বস্ত পরিচারক, তিনি তোমাদের সকলই জানাবেন।