17. এজন্য নির্বোধ হয়ো না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি তা বুুঝে নাও।
18. আর আঙ্গুর-রসে মাতাল হয়ো না, কারণ তাতে উচ্ছৃঙ্খলতা থাকে; কিন্তু পাক-রূহে পরিপূর্ণ হও;
19. জবুর শরীফের গজল, প্রশংসা-সংগীত ও রূহানিক কাওয়ালীর মধ্য দিয়ে পরস্পর আলাপ কর; নিজ নিজ অন্তঃকরণে বাদ্যের ঝঙ্কারে প্রভুর উদ্দেশে সঙ্গীত কর;
20. সব সময় সব কিছুর জন্য আমাদের ঈসা মসীহের নামে পিতা আল্লাহ্র শুকরিয়া কর;
21. মসীহের প্রতি ভক্তিপূর্ণ ভয়ে পরস্পরের প্রতি অনুগত হও।
22. তোমরা যারা স্ত্রী, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনি নিজ নিজ স্বামীর অধীনতা স্বীকার কর।
23. কেননা স্বামী যেমন স্ত্রীর মাথা, মসীহ্ও তেমনি মণ্ডলীর মাথা— তাঁর দেহের নাজাতদাতা;
24. কিন্তু মণ্ডলী যেমন মসীহের বশীভূত, তেমনি স্ত্রীরা সমস্ত বিষয়ে নিজ নিজ স্বামীর বশীভূতা হোক।
25. তোমরা যারা স্বামী, তোমরা নিজ নিজ স্ত্রীকে মহব্বত কর, যেমন মসীহ্ও মণ্ডলীকে মহব্বত করলেন আর তার জন্য নিজেকে দান করলেন;
26. যেন তিনি কালাম দ্বারা পানিতে ধুয়ে তাকে পাক-পবিত্র করেন,
27. যেন তিনি মহিমান্বিত অবস্থায় তাঁর নিজের কাছে মণ্ডলীকে উপস্থিত করেন, যেন তার কলঙ্ক বা খুঁত বা এই রকম কোন কিছু না থাকে, বরং সে যেন পবিত্র ও অনিন্দনীয় হয়।
28. এভাবে স্বামীরাও নিজ নিজ স্ত্রীকে নিজ নিজ দেহ বলে মহব্বত করতে বাধ্য। নিজের স্ত্রীকে যে মহব্বত করে, সে নিজেকেই মহব্বত করে।
29. কেউ তো কখনও নিজের দেহের প্রতি ঘৃণা করে না, বরং সকলে তার ভরণ-পোষণ ও লালন-পালন করে, যেমন মসীহ্ও মণ্ডলীর প্রতি করছেন;
30. কেননা আমরা তাঁর দেহের অংশ।
31. “এজন্য মানুষ তার পিতা-মাতাকে ত্যাগ করে তার স্ত্রীতে আসক্ত হবে এবং সেই দু’জন একাঙ্গ হবে।”
32. এই নিগূঢ়তত্ত্ব মহৎ, কিন্তু আমি মসীহ্ ও মণ্ডলীর উদ্দেশে এই কথা বললাম।