7. আল্লাহ্র রহমতের যে দান তাঁর পরাক্রমের কর্মশক্তি গুণে আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেই অনুসারে আমি সেই ইঞ্জিলের পরিচারক হয়েছি।
8. যদিও আমি সমস্ত পবিত্র লোকদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম তবুও আমাকে এই রহমত দেওয়া হয়েছে, যাতে অ-ইহুদীদের কাছে আমি মসীহের সেই ধনের বিষয়ে সুখবর তবলিগ করি, যে ধনের অনুসন্ধান করে ওঠা যায় না;
9. এবং আদি থেকে সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্তে যা গুপ্ত ছিল, সেই নিগূঢ়তত্ত্বের পরিকল্পনা যে কি তাও যেন তাদের চোখের সামনে প্রকাশ করি;
10. উদ্দেশ্য এই, যেন এখন মণ্ডলীর মধ্য দিয়ে বেহেশতী স্থানের সমস্ত শাসনকর্তা ও ক্ষমতার অধিকারীদের কাছে আল্লাহ্র বহুবিধ প্রজ্ঞা জানানো যায়।
11. এটা ছিল তাঁর অনন্তকালীন সঙ্কল্প, যে সঙ্কল্প তিনি আমাদের প্রভু মসীহ্ ঈসাতে পূর্ণ করেছেন,
12. তাঁতেই আমরা তাঁর উপরে ঈমানের মধ্য দিয়ে সাহস এবং পূর্ণ ভরসায় আল্লাহ্র কাছে উপস্থিত হবার ক্ষমতা পেয়েছি।
13. অতএব আমার মুনাজাত এই, তোমাদের জন্য আমি যেসব দুঃখ-কষ্ট ভোগ করছি, তাতে যেন নিরুৎসাহ না হও; সেই সব তোমাদের গৌরব।
14. এজন্য সেই পিতার কাছে আমি হাঁটু পেতেছি,
15. যাঁর কাছ থেকে বেহেশত ও দুনিয়ার সমস্ত পরিবার তাদের নাম পেয়েছে।
16. আমি মুনাজাত করছি যেন তিনি তাঁর মহিমা-ধন অনুসারে তোমাদের এই বর দেন, যাতে তাঁর রূহের মধ্য দিয়ে তোমাদের অন্তর শক্তিশালী হয়;
17. যেন ঈমানের মধ্য দিয়ে মসীহ্ তোমাদের অন্তরে বাস করেন; যেন তোমরা মহব্বতে দৃঢ়-রোপিত ও দৃঢ়ভাবে স্থাপিত হও।
18. আমি মুনাজাত করি যেন তোমরা সমস্ত পবিত্র লোকদের সঙ্গে বুঝতে সমর্থ হও যে, সেই প্রশস্ততা, দীর্ঘতা, উচ্চতা ও গভীরতা কি,
19. এবং জ্ঞানাতীত যে মসীহের মহব্বত, তা যেন জানতে সমর্থ হও আর এইভাবে যেন আল্লাহ্র সমস্ত পূর্ণতার উদ্দেশে পূর্ণ হও।
20. যে শক্তি আমাদের মধ্যে কাজ করে, সেই শক্তি অনুসারে যিনি আমাদের সমস্ত চাওয়া ও চিন্তার চেয়েও অতিরিক্ত কাজ করতে পারেন,
21. মণ্ডলীতে এবং মসীহ্ ঈসাতে যুগপর্যায়ের যুগে যুগে সমস্ত পুরুষানুক্রমে তাঁরই মহিমা হোক। আমিন।