13. আর মসীহে তোমরাও সত্যের কালাম, তোমাদের নাজাতের ইঞ্জিল শুনে এবং তাঁর উপর ঈমান এনে সেই অঙ্গীকৃত পাক-রূহ্ দ্বারা তোমাদের সীলমোহর করা হয়েছ;
14. সেই রূহ্ আল্লাহ্র নিজস্ব লোকের মুক্তির জন্য, তাঁর মহিমার প্রশংসার জন্য আমাদের উত্তরাধিকারের বায়না হিসেবে দান করা হয়েছে।
15. এজন্য ঈসা মসীহে যে ঈমান এবং সমস্ত পবিত্র লোকের প্রতি যে মহব্বত তোমাদের মধ্যে আছে তার কথা শুনে,
16. আমিও তোমাদের জন্য শুকরিয়া আদায় করতে ক্ষান্ত হই না, আমার মুনাজাতের সময়ে তোমাদের কথা স্মরণ করি,
17. মুনাজাত করি, যেন আমাদের ঈসা মসীহের আল্লাহ্, মহিমার পিতা, তাঁর প্রজ্ঞার ও প্রত্যাদেশের রূহ্ তোমাদের দান করেন, যাতে তোমরা তাঁকে জানতে পার;
18. যাতে তোমাদের হৃদয়ের চোখ আলোকময় হয়, যেন তোমরা জানতে পার তাঁর আহ্বানের প্রত্যাশা কি, পবিত্র লোকদের মধ্যে তাঁর উত্তরাধিকারের মহিমারূপ ধন কি,
19. এবং আমরা যারা ঈমান এনেছি, আমাদের প্রতি তাঁর পরাক্রমের অনুপম মহত্ত্ব কি— এসবই তাঁর মহাশক্তির কাজ অনুসারে হয়েছে।
20. এই মহাশক্তি দ্বারা তিনি মসীহে কার্য-সাধন করেছেন, যখন তিনি তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন এবং বেহেশতে নিজের ডান পাশে বসিয়েছেন,
21. সমস্ত আধিপত্য, কর্তৃত্ব, পরাক্রম ও প্রভুত্বের উপরে এবং যত নাম কেবল ইহযুগে নয়, কিন্তু পরযুগেও উল্লেখ করা যায়, তার সবকিছুর উপরে মসীহের নাম প্রতিষ্ঠিত করলেন।
22. আর তিনি সবকিছুই তাঁর পায়ের নিচে রাখলেন এবং তাঁকেই সকলের উপরে মস্তকস্বরূপ করে মণ্ডলীকে দান করলেন;
23. সেই মণ্ডলী তাঁর দেহ, তাঁরই পূর্ণতাস্বরূপ, যিনি সমস্ত বিষয়ে সমস্তই পূরণ করেন।