24. অতএব যে অন্ধ ছিল, তারা দ্বিতীয়বার তাকে ডেকে বললো, আল্লাহ্র গৌরব স্বীকার কর; আমরা জানি যে, সেই ব্যক্তি গুনাহ্গার।
25. সে জবাবে বললো, তিনি গুনাহ্গার কি না, তা জানি না; একটি বিষয় জানি, আমি অন্ধ ছিলাম, এখন দেখতে পাচ্ছি।
26. তারা তাকে বললো, সে তোমার প্রতি কি করেছিল? কিভাবে তোমার চোখ খুলে দিল?
27. সে জবাবে বললো, একবার আপনাদেরকে বলেছি, আপনারা শোনেন নি; তবে আবার শুনতে চান কেন? আপনারাও কি তাঁর সাহাবী হতে চান?
28. তখন তারা তাকে গালি দিয়ে বললো, তুই সেই ব্যক্তির সাহাবী; আমরা মূসার সাহাবী।
29. আমরা জানি আল্লাহ্ মূসার সঙ্গে কথা বলেছিলেন; কিন্তু এ কোথা থেকে আসল, তা জানি না।
30. সেই ব্যক্তি জবাবে তাদেরকে বললো, এর মধ্যে তো আশ্চর্য এই যে, তিনি কোথা থেকে আসলেন, তা আপনারা জানেন না, তবুও তিনি আমার চোখ খুলে দিয়েছেন।
31. আমরা জানি, আল্লাহ্ গুনাহ্গারদের কথা শুনেন না, কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহ্-ভক্ত হয়, আর তাঁর ইচ্ছা পালন করে, তিনি তারই কথা শুনেন।
32. জগতের আদি থেকে এমন কথা কখনও শোনা যায় নি যে, কেউ জন্মান্ধের চোখ খুলে দিয়েছে।
33. তিনি যদি আল্লাহ্ থেকে না আসতেন, তবে কিছুই করতে পারতেন না।
34. তারা জবাবে তাকে বললো, তুই একেবারে গুনাহ্তেই জন্মেছিস, আর তুই আমাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছিস্? পরে তারা তাকে বের করে দিল।
35. ঈসা শুনলেন যে, তারা তাকে বের করে দিয়েছে; আর তিনি তার দেখা পেয়ে বললেন, তুমি কি ইবনুল-ইনসানের উপর ঈমান এনেছো?
36. সে জবাবে বললো, প্রভু, তিনি কে? আমি যেন তাঁর উপর ঈমান আনতে পারি।
37. ঈসা তাকে বললেন, তুমি তাঁকে দেখেছ; আর তিনিই তোমার সঙ্গে কথা বলছেন।
38. সে বললো, ঈমান আনছি, প্রভু, আর সে তাঁকে সেজ্দা করলো।
39. তখন ঈসা বললেন, বিচারের জন্য আমি এই দুনিয়াতে এসেছি, যেন যারা দেখে না, তারা দেখতে পায় এবং যারা দেখে, তারা যেন অন্ধ হয়।
40. ফরীশীদের মধ্যে যারা তাঁর সঙ্গে ছিল, তারা এসব কথা শুনল, আর তাঁকে বললো, আমরাও কি অন্ধ না কি?
41. ঈসা তাদেরকে বললেন, যদি অন্ধ হতে তবে তোমাদের গুনাহ্ থাকতো না; কিন্তু এখন তোমরা বলে থাক, আমরা দেখছি, তাই তোমাদের গুনাহ্ রয়েছে।