31. কিন্তু লোকদের মধ্যে অনেকে তাঁর উপর ঈমান আনলো, আর বললো, মসীহ্ যখন আসবেন তখন এঁর কাজের চেয়েও কি তিনি বেশি চিহ্ন-কাজ করবেন?
32. ফরীশীরা তাঁর বিষয়ে লোকদেরকে এসব কথা ফিস্ ফিস্ করে বলতে শুনল; আর প্রধান ইমামেরা ও ফরীশীরা তাঁকে ধরে আনবার জন্য কয়েক জন পদাতিককে পাঠিয়ে দিল।
33. তাতে ঈসা বললেন, আমি এখন অল্প কাল তোমাদের সঙ্গে আছি, তারপর যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁর কাছে যাচ্ছি।
34. তোমরা আমার খোঁজ করবে, কিন্তু আমাকে পাবে না; আর আমি যেখানে আছি, সেখানে তোমরা আসতে পার না।
35. তখন ইহুদীরা পরস্পর বলতে লাগল, এ কোথায় যাবে যে, আমরা একে খুঁজে পাব না? এ কি গ্রীকদের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইহুদীদের কাছে যাবে ও গ্রীকদেরকে উপদেশ দেবে?
36. এ যে বললো, ‘আমার খোঁজ করবে, কিন্তু আমাকে পাবে না এবং আমি যেখানে আছি, সেখানে তোমরা আসতে পার না’, এই কথার অর্থ কি?
37. শেষ দিন, ঈদের প্রধান দিন, ঈসা দাঁড়িয়ে উচ্চৈঃস্বরে বললেন, কেউ যদি তৃষ্ণার্ত হয়, তবে আমার কাছে এসে পান করুক।
38. যে আমার উপর ঈমান আনে, পাক-কিতাব যেমন বলে, তার অন্তর থেকে জীবন্ত পানির নদী বইবে।
39. যারা তাঁর উপর ঈমান এনে যে রূহ্কে পাবে, তিনি সেই রূহের বিষয়ে এই কথা বললেন; কারণ তখনও রূহ্ দেওয়া হয় নি, কেননা তখনও ঈসা মহিমান্বিত হন নি।
40. সেসব কথা শুনে লোকদের মধ্যে কেউ কেউ বললো, ইনি সত্যিই সেই নবী।
41. আর কেউ কেউ বললো, ইনি সেই মসীহ্। কিন্তু কেউ কেউ বললো, তা কেমন করে হবে? মসীহ্ কি গালীল থেকে আসবেন?
42. পাক-কিতাবে কি বলে নি, মসীহ্ দাউদের বংশ থেকে এবং দাউদ যেখানে ছিলেন, সেই বেথেলহেম গ্রাম থেকে আসবেন?
43. এইভাবে তাঁকে নিয়ে লোকদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিল।
44. আর তাদের কয়েক জন তাঁকে ধরতে চাচ্ছিল, তবুও কেউ তাঁর উপরে হস্তক্ষেপ করলো না।
45. তখন পদাতিকেরা প্রধান ইমামদের ও ফরীশীদের কাছে আসলো। এরা তাদেরকে বললো, তাকে আন নি কেন?
46. পদাতিকেরা জবাবে বললো, এই ব্যক্তি যেরকম কথা বলেন, কোন মানুষ কখনও এরকম কথা বলে নি।
47. ফরীশীরা তাদেরকে বললো, তোমরাও কি ভ্রান্ত হলে?
48. নেতাদের মধ্যে কিংবা ফরীশীদের মধ্যে কি কেউ ওর উপর ঈমান এনেছেন?
49. কিন্তু এই যে লোকেরা যারা শরীয়ত জানে না, এরা বদদোয়াগ্রস্ত।
50. তখন নীকদীম— তাদের মধ্যে এক জন, যিনি আগে তাঁর কাছে এসেছিলেন— তিনি তাদেরকে বললেন,
51. আগে কোন মানুষের কথা না শুনে ও সে কি করে তা না জেনে, আমাদের শরীয়ত কি কারো বিচার করতে বলে?