2. এদিকে ইহুদীদের কুটিরবাস ঈদ সন্নিকট হল।
3. অতএব তাঁর ভাইয়েরা তাঁকে বললো, এই স্থান থেকে প্রস্থান কর, এহুদিয়াতে চলে যাও; যেন তুমি যা যা করছো, তোমার সেসব কাজ তোমার সাহাবীরাও দেখতে পায়।
4. কারণ এমন কেউ নেই যে, নিজেকে প্রকাশ করতে চেষ্টা করে অথচ গোপনে কাজ করে। তুমি যখন এসব কাজ করছো, তখন নিজেকে দুনিয়ার কাছে প্রকাশ কর।
5. —কারণ তাঁর ভাইয়েরাও তাঁর উপর ঈমান আনে নি।—
6. তখন ঈসা তাদেরকে বললেন, আমার সময় এখনও আসে নি, কিন্তু তোমাদের সময় সর্বদাই উপস্থিত।
7. দুনিয়া তোমাদেরকে ঘৃণা করতে পারে না, কিন্তু আমাকে ঘৃণা করে, কারণ আমি তার বিষয়ে এই সাক্ষ্য দিই যে, তার কাজ মন্দ।
8. তোমরাই ঈদে যাও; আমি এখনও এই ঈদে যাচ্ছি না, কেননা আমার সময় এখনও সমপূর্ণ হয় নি।
9. তাদেরকে এই কথা বলে তিনি গালীলেই রইলেন।
10. কিন্তু তাঁর ভাইয়েরা ঈদে গেলে পর তিনিও গেলেন, প্রকাশ্যরূপে নয়, কিন্তু এক প্রকার গোপনে।
11. তাতে ইহুদীরা ঈদে তাঁর খোঁজ করতে লাগল, আর বললো, সেই ব্যক্তি কোথায়?
12. আর সমাগত লোকেরা তাঁর বিষয়ে ফিস্ ফিস্ করে অনেক কথা বলতে লাগল। কেউ কেউ বললো, তিনি ভাল লোক; আর কেউ কেউ বললো, তা নয়, বরং সে লোকদেরকে ভুলাচ্ছে।
13. কিন্তু ইহুদীদের ভয়ে কেউ তাঁর বিষয়ে প্রকাশ্য-রূপে কিছু বললো না।
14. ঈদের মাঝামাঝি সময়ে ঈসা বায়তুল-মোকাদ্দসে গেলেন এবং উপদেশ দিতে লাগলেন।
15. তাতে ইহুদীরা আশ্চর্য জ্ঞান করে বললো, এই ব্যক্তি শিক্ষা না নিয়ে কিভাবে জ্ঞানবান হয়ে উঠলো?
16. ঈসা তাদেরকে জবাবে বললেন, আমার উপদেশ আমার নয়, কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁর।
17. যদি কেউ তাঁর ইচ্ছা পালন করতে ইচ্ছা করে, তবে সে এই উপদেশের বিষয়ে জানতে পারবে যে, এই শিক্ষা আল্লাহ্র কাছ থেকে এসেছে, নাকি আমি নিজের থেকে বলি।
18. যে নিজের থেকে বলে, সে নিজেরই গৌরব চেষ্টা করে; কিন্তু যিনি তাঁর প্রেরণকর্তার গৌরবের চেষ্টা করেন, তিনি সত্যবাদী, আর তাঁর মধ্যে কোন অধর্ম নেই।
19. মূসা তোমাদেরকে কি শরীয়ত দেন নি? তবুও তোমাদের মধ্যে কেউই সেই শরীয়ত পালন করে না। কেন আমাকে হত্যা করতে চেষ্টা করছো?
20. লোকেরা জবাবে বললো, তোমাকে ভূতে পেয়েছে, কে তোমাকে হত্যা করতে চেষ্টা করছে?
21. জবাবে ঈসা তাদেরকে বললেন, আমি একটি কাজ করেছি, আর সেজন্য তোমরা সকলে আশ্চর্য বোধ করছো।