17. যদি কেউ তাঁর ইচ্ছা পালন করতে ইচ্ছা করে, তবে সে এই উপদেশের বিষয়ে জানতে পারবে যে, এই শিক্ষা আল্লাহ্র কাছ থেকে এসেছে, নাকি আমি নিজের থেকে বলি।
18. যে নিজের থেকে বলে, সে নিজেরই গৌরব চেষ্টা করে; কিন্তু যিনি তাঁর প্রেরণকর্তার গৌরবের চেষ্টা করেন, তিনি সত্যবাদী, আর তাঁর মধ্যে কোন অধর্ম নেই।
19. মূসা তোমাদেরকে কি শরীয়ত দেন নি? তবুও তোমাদের মধ্যে কেউই সেই শরীয়ত পালন করে না। কেন আমাকে হত্যা করতে চেষ্টা করছো?
20. লোকেরা জবাবে বললো, তোমাকে ভূতে পেয়েছে, কে তোমাকে হত্যা করতে চেষ্টা করছে?
21. জবাবে ঈসা তাদেরকে বললেন, আমি একটি কাজ করেছি, আর সেজন্য তোমরা সকলে আশ্চর্য বোধ করছো।
22. মূসা তোমাদেরকে খৎনার নিয়ম দিয়েছেন— তা যে মূসার কাছ থেকে এসেছে, এমন নয়, পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে এসেছে— এবং তোমরা বিশ্রামবারের মানুষের খৎনা করে থাক।
23. মূসার শরীয়তের যেন লঙ্ঘন না হয়, সেজন্য বিশ্রামবারে মানুষের খৎনা করানো যায়, তবে আমি বিশ্রামবারেও একটি মানুষকে সর্বাঙ্গীন সুস্থ করেছি বলে আমার উপরে রাগ করছো কেন?
24. বাইরের চেহারা দেখে বিচার করো না, কিন্তু ন্যায্যভাবে বিচার কর।
25. তখন জেরুশালেম-নিবাসীদের মধ্যে কয়েক জন বললো, এ কি সেই ব্যক্তি নয়, যাকে তাঁরা হত্যা করতে চেষ্টা করছেন?
26. আর দেখ, এ তো প্রকাশ্যরূপে কথা বলছে, আর তাঁরা একে কিছুই বলছেন না; নেতৃবর্গ কি বাস্তবিক জানেন যে, ইনি সেই মসীহ্?
27. যা হোক এ কোথা থেকে আসল, তা আমরা জানি; মসীহ্ যখন আসবেন, তখন তিনি কোথা থেকে আসবেন, তা কেউ জানবে না।