54. যে আমার গোশ্ত ভোজন ও আমার রক্ত পান করে, সে অনন্ত জীবন পেয়েছে এবং আমি তাকে শেষ দিনে জীবিত করে তুলব।
55. কারণ আমার গোশ্ত প্রকৃত খাদ্য এবং আমার রক্ত প্রকৃত পানীয়।
56. যে আমার গোশ্ত ভোজন ও আমার রক্ত পান করে, সে আমার মধ্যে থাকে এবং আমি তার মধ্যে থাকি।
57. যেমন জীবন্ত পিতা আমাকে প্রেরণ করেছেন এবং পিতার কারণে আমি জীবিত আছি, ঠিক সেভাবে যে কেউ আমাকে ভোজন করে, সেও আমার কারণে জীবিত থাকবে।
58. এ সেই খাদ্য, যা বেহেশত থেকে নেমে এসেছে; পূর্বপুরুষেরা যেমন খেয়েছিল এবং মারা গিয়েছিল, সেরকম নয়; এই খাদ্য যে ভোজন করে, সে অনন্তকাল জীবিত থাকবে।
59. এসব কথা তিনি কফরনাহূমে উপদেশ দেবার সময়ে মজলিস-খানায় বললেন।
60. তাঁর সাহাবীদের মধ্যে অনেকে এই কথা শুনে বললো, এ কঠিন কথা, কে এই কথা গ্রহণ করতে পারে?
61. কিন্তু তাঁর সাহাবীরা এই বিষয়ে বচসা করছে, ঈসা তা অন্তরে জানতে পেরে তাদেরকে বললেন, এই কথায় কি তোমরা মনে বাধা পেয়েছ?
62. তবে ইবনুল-ইনসান আগে যেখানে ছিলেন, সেখানে তোমরা তাঁকে উঠতে দেখলে কি বলবে?
63. রূহ্ই জীবনদায়ক, দৈহিক শক্তি জীবন দিতে পারে না; আমি তোমাদেরকে যেসব কথা বলেছি, তা রূহ্ ও জীবন;
64. কিন্তু তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আছে, যারা বিশ্বাস করে না। কেননা ঈসা প্রথম থেকে জানতেন, কে কে বিশ্বাস করে না এবং কেই বা তাঁকে দুশমনদের হাতে তুলে দেবে?
65. তিনি আরও বললেন, এজন্য আমি তোমাদেরকে বলেছি, যদি পিতা থেকে ক্ষমতা দেওয়া না হয়, তবে কেউই আমার কাছে আসতে পারে না।
66. এতে তাঁর অনেক সাহাবী পিছিয়ে পড়লো, তাঁর সঙ্গে আর যাতায়াত করলো না।
67. অতএব ঈসা সেই বারো জনকে বললেন, তোমরাও কি চলে যেতে ইচ্ছা করছো?