47. সত্যি, সত্যি, আমি তোমাদেরকে বলছি, যে ঈমান আনে, সে অনন্ত জীবন পেয়েছে।
48. আমিই জীবন-খাদ্য।
49. তোমাদের পূর্বপুরুষেরা মরু-ভূমিতে মান্না খেয়েছিল, আর তারা ইন্তেকাল করেছে।
50. এ সেই খাদ্য, যা বেহেশত থেকে নেমে আসে, যেন লোকে তা খায় ও মারা না যায়।
51. আমিই সেই জীবন্ত খাদ্য, যা বেহেশত থেকে নেমে এসেছে। কেউ যদি এই খাদ্য খায়, তবে সে অনন্তকাল জীবিত থাকবে, আর আমি দুনিয়ার জীবনের জন্য যে খাদ্য দেব, তা আমার শরীর।
52. অতএব ইহুদীরা পরস্পর তর্ক করে বলতে লাগল, এই ব্যক্তি কেমন করে আমাদেরকে ভোজনের জন্য নিজের শরীর দিতে পারে?
53. ঈসা তাদেরকে বললেন, সত্যি, সত্যি, আমি তোমাদেরকে বলছি, তোমরা যদি ইবনুল-ইনসানের গোশ্ত ভোজন ও তাঁর রক্ত পান না কর, তোমাদের মধ্যে জীবন নেই।
54. যে আমার গোশ্ত ভোজন ও আমার রক্ত পান করে, সে অনন্ত জীবন পেয়েছে এবং আমি তাকে শেষ দিনে জীবিত করে তুলব।
55. কারণ আমার গোশ্ত প্রকৃত খাদ্য এবং আমার রক্ত প্রকৃত পানীয়।
56. যে আমার গোশ্ত ভোজন ও আমার রক্ত পান করে, সে আমার মধ্যে থাকে এবং আমি তার মধ্যে থাকি।
57. যেমন জীবন্ত পিতা আমাকে প্রেরণ করেছেন এবং পিতার কারণে আমি জীবিত আছি, ঠিক সেভাবে যে কেউ আমাকে ভোজন করে, সেও আমার কারণে জীবিত থাকবে।
58. এ সেই খাদ্য, যা বেহেশত থেকে নেমে এসেছে; পূর্বপুরুষেরা যেমন খেয়েছিল এবং মারা গিয়েছিল, সেরকম নয়; এই খাদ্য যে ভোজন করে, সে অনন্তকাল জীবিত থাকবে।
59. এসব কথা তিনি কফরনাহূমে উপদেশ দেবার সময়ে মজলিস-খানায় বললেন।
60. তাঁর সাহাবীদের মধ্যে অনেকে এই কথা শুনে বললো, এ কঠিন কথা, কে এই কথা গ্রহণ করতে পারে?
61. কিন্তু তাঁর সাহাবীরা এই বিষয়ে বচসা করছে, ঈসা তা অন্তরে জানতে পেরে তাদেরকে বললেন, এই কথায় কি তোমরা মনে বাধা পেয়েছ?