42. তারা বললো, এ কি ইউসুফের পুত্র সেই ঈসা নয়, যার পিতামাতাকে আমরা জানি? তবে এ কেমন করে বলে, আমি বেহেশত থেকে নেমে এসেছি?
43. জবাবে ঈসা তাঁদেরকে বললেন, তোমরা পরস্পর বচসা করো না।
44. পিতা, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তিনি আকর্ষণ না করলে কেউ আমার কাছে আসতে পারে না, আর আমি তাকে শেষ দিনে জীবিত করে তুলব।
45. নবীদের কিতাবে লেখা আছে, “তারা সকলে আল্লাহ্র কাছে শিক্ষা পাবে।” যে কেউ পিতার কাছে শুনে শিক্ষা পেয়েছে, সেই আমার কাছে আসে।
46. কেউ যে পিতাকে দেখেছে, তা নয়; যিনি আল্লাহ্র কাছ থেকে এসেছেন, কেবল তিনিই পিতাকে দেখেছেন।
47. সত্যি, সত্যি, আমি তোমাদেরকে বলছি, যে ঈমান আনে, সে অনন্ত জীবন পেয়েছে।
48. আমিই জীবন-খাদ্য।
49. তোমাদের পূর্বপুরুষেরা মরু-ভূমিতে মান্না খেয়েছিল, আর তারা ইন্তেকাল করেছে।
50. এ সেই খাদ্য, যা বেহেশত থেকে নেমে আসে, যেন লোকে তা খায় ও মারা না যায়।
51. আমিই সেই জীবন্ত খাদ্য, যা বেহেশত থেকে নেমে এসেছে। কেউ যদি এই খাদ্য খায়, তবে সে অনন্তকাল জীবিত থাকবে, আর আমি দুনিয়ার জীবনের জন্য যে খাদ্য দেব, তা আমার শরীর।
52. অতএব ইহুদীরা পরস্পর তর্ক করে বলতে লাগল, এই ব্যক্তি কেমন করে আমাদেরকে ভোজনের জন্য নিজের শরীর দিতে পারে?
53. ঈসা তাদেরকে বললেন, সত্যি, সত্যি, আমি তোমাদেরকে বলছি, তোমরা যদি ইবনুল-ইনসানের গোশ্ত ভোজন ও তাঁর রক্ত পান না কর, তোমাদের মধ্যে জীবন নেই।
54. যে আমার গোশ্ত ভোজন ও আমার রক্ত পান করে, সে অনন্ত জীবন পেয়েছে এবং আমি তাকে শেষ দিনে জীবিত করে তুলব।
55. কারণ আমার গোশ্ত প্রকৃত খাদ্য এবং আমার রক্ত প্রকৃত পানীয়।