32. ঈসা তাদেরকে বললেন, সত্যি, সত্যি, আমি তোমাদেরকে বলছি, মূসা তোমাদেরকে বেহেশত থেকে সেই খাদ্য দেন নি, কিন্তু আমার পিতাই তোমাদেরকে বেহেশত থেকে প্রকৃত খাদ্য দেন।
33. কেননা আল্লাহ্র খাদ্য তা-ই, যা বেহেশত থেকে নেমে আসে ও দুনিয়াকে জীবন দান করে।
34. তখন তারা তাঁকে বললো, হুজুর, চিরকাল সেই খাদ্য আমাদেরকে দিন।
35. ঈসা তাদেরকে বললেন, আমিই সেই জীবন-খাদ্য। যে ব্যক্তি আমার কাছে আসে, সে ক্ষুধার্ত হবে না এবং যে আমাতে ঈমান আনে, সে তৃষ্ণার্ত হবে না, কখনও না।
36. কিন্তু আমি তোমাদেরকে বলেছি যে, তোমরা আমাকে দেখেছো, তবুও ঈমান আন নি।
37. পিতা যাদের আমাকে দেন, তারা আমারই কাছে আসবে এবং যে আমার কাছে আসবে, তাকে আমি কোন মতে বাইরে ফেলে দেব না।
38. কেননা আমার ইচ্ছা সাধন করার জন্য আমি বেহেশত থেকে নেমে আসি নি; কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁরই ইচ্ছা সাধন করার জন্য এসেছি।
39. আর যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছা এই, তিনি আমাকে যে সমস্ত লোকদের দিয়েছেন, তাদের কাউকেই যেন না হারাই, কিন্তু শেষ দিনে জীবিত করে তুলি।
40. কারণ আমার পিতার ইচ্ছা এই, যে কেউ পুত্রকে দর্শন করে ও তাঁতে ঈমান আনে, সে যেন অনন্ত জীবন পায়; আর আমিই তাঁকে শেষ দিনে জীবিত করে তুলব।
41. অতএব ইহুদীরা তাঁর বিষয়ে বচসা করতে লাগল, কেননা তিনি বলেছিলেন, আমিই সেই খাদ্য, যা বেহেশত থেকে নেমে এসেছে।
42. তারা বললো, এ কি ইউসুফের পুত্র সেই ঈসা নয়, যার পিতামাতাকে আমরা জানি? তবে এ কেমন করে বলে, আমি বেহেশত থেকে নেমে এসেছি?
43. জবাবে ঈসা তাঁদেরকে বললেন, তোমরা পরস্পর বচসা করো না।
44. পিতা, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তিনি আকর্ষণ না করলে কেউ আমার কাছে আসতে পারে না, আর আমি তাকে শেষ দিনে জীবিত করে তুলব।