20. কিন্তু তিনি তাঁদেরকে বললেন, এ আমি, ভয় করো না।
21. তখন তাঁরা তাঁকে নৌকায় তুলে নিতে চাইলেন; আর তাঁরা যেখানে যাচ্ছিলেন, নৌকাটি তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছে গেল।
22. পর দিন, যে লোকেরা সমুদ্রের অন্য পারে দাঁড়িয়ে ছিল, তারা দেখেছিল যে, সেখানে একটি নৌকা ছাড়া আর কোন নৌকা ছিল না এবং ঈসা সাহাবীদের সঙ্গে সেই নৌকাতে উঠেন নি, কেবল তাঁর সাহাবীরা একাই চলে গিয়েছিলেন।
23. কিন্তু টিবেরিয়াস থেকে কয়েকখানি নৌকা, যেখানে প্রভু শুকরিয়া জানালে পর লোকেরা রুটি খেয়েছিল, সেই স্থানের কাছে এসেছিল।
24. অতএব লোকেরা যখন দেখলো, ঈসা সেখানে নেই, তাঁর সাহাবীরাও নেই, তখন তারা সেসব নৌকায় চড়ে ঈসার খোঁজে কফরনাহূমে আসল।
25. আর সমুদ্রের পারে তাঁকে পেয়ে বললো, রব্বি, আপনি এখানে কখন এসেছেন?
26. ঈসা তাদেরকে জবাবে বললেন, সত্যি, সত্যি, আমি তোমাদেরকে বলছি, তোমরা চিহ্ন-কাজ দেখেছো বলে আমার খোঁজ করছো, তা নয়; কিন্তু সেই রুটি খেয়েছিলে ও তৃপ্ত হয়েছিলে বলেই আমার খোঁজ করছো।
27. যে খাদ্য নষ্ট হয়ে যায় সেই খাদ্যের জন্য পরিশ্রম করো না, কিন্তু সেই খাদ্যের জন্য পরিশ্রম কর, যা অনন্ত জীবন পর্যন্ত থাকে, যা ইবনুল-ইনসান তোমাদেরকে দেবেন, কেননা পিতা-আল্লাহ্ তাঁকেই সীলমোহরকৃত করেছেন।
28. তখন তারা তাঁকে বললো, আমরা যেন আল্লাহ্র কাজ করতে পারি, এজন্য আমাদেরকে কি করতে হবে?
29. জবাবে ঈসা তাঁদেরকে বললেন, আল্লাহ্র কাজ এই, যেন তাঁতে তোমরা ঈমান আনো, যাঁকে তিনি প্রেরণ করেছেন।
30. তারা তাঁকে বললো, ভাল, আপনি এমন কি চিহ্ন-কাজ করছেন, যা দেখে আমরা আপনার উপর ঈমান আনবো? আপনি কি কাজ করছেন?
31. আমাদের পূর্বপুরুষেরা মরুভূমিতে মান্না খাইয়েছিলেন, যেমন লেখা আছে, “তিনি ভোজনের জন্য তাদেরকে বেহেশত থেকে খাদ্য দিলেন।”
32. ঈসা তাদেরকে বললেন, সত্যি, সত্যি, আমি তোমাদেরকে বলছি, মূসা তোমাদেরকে বেহেশত থেকে সেই খাদ্য দেন নি, কিন্তু আমার পিতাই তোমাদেরকে বেহেশত থেকে প্রকৃত খাদ্য দেন।