41. তখন আরও অনেক লোক তাঁর কথা শুনে তাঁর উপর ঈমান আনলো;
42. আর তারা সেই স্ত্রীলোককে বললো, এখন যে আমরা ঈমান এনেছি, তা তোমার কথা শুনে নয়, কেননা আমরা নিজেরা শুনেছি ও জানতে পেরেছি যে, ইনি সত্যিই দুনিয়ার নাজাতদাতা।
43. সেই দুই দিনের পর তিনি সেখান থেকে গালীলে গমন করলেন।
44. কারণ ঈসা নিজে এই সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, নবী নিজের দেশে সমাদর পান না।
45. অতএব তিনি যখন গালীলে আসলেন, তখন গালীলীয়েরা তাঁকে গ্রহণ করলো, কারণ জেরুশালেমে ঈদের সময়ে তিনি যা যা করেছিলেন, সেসব তারা দেখেছিল; কেননা তারাও সেই ঈদে গিয়েছিল।
46. পরে তিনি আবার গালীলের সেই কান্না নগরে গেলেন, যেখানে পানিকে আঙ্গুর-রস করেছিলেন। সেখানে এক জন রাজ-কর্মচারী ছিলেন, তার পুত্র কফরনাহূমে অসুস্থ ছিল।
47. ঈসা এহুদিয়া থেকে গালীলে এসেছেন শুনে তিনি তাঁর কাছে গেলেন এবং ফরিয়াদ জানালেন, যেন তিনি গিয়ে তার পুত্রকে সুস্থ করেন; কারণ সে মৃতপ্রায় হয়েছিল।
48. তখন ঈসা তাকে বললেন, চিহ্ন-কাজ এবং অদ্ভুত লক্ষণ যদি না দেখ, তোমরা কোন মতে ঈমান আনবে না।
49. সেই রাজ-কর্মচারী তাঁকে বললেন, হে প্রভু, আমার ছেলেটি মারা যাবার আগেই আসুন।
50. ঈসা তাকে বললেন, যাও, তোমার পুত্র বাঁচলো। ঈসা সেই ব্যক্তিকে যে কথা বললেন, তিনি তা বিশ্বাস করে চলে গেলেন।
51. তিনি যাচ্ছেন, এমন সময়ে তার গোলামেরা তার কাছে এসে বললো, আপনার বালকটি বাঁচলো।