3. তখন তিনি এহুদিয়া ত্যাগ করলেন এবং পুনর্বার গালীলে চলে গেলেন,
4. আর সামেরিয়ার মধ্য দিয়ে তাঁকে যেতে হল।
5. তাতে তিনি শুখর নামক সামেরিয়ার একটি নগরের কাছে গেলেন; ইয়াকুব তাঁর পুত্র ইউসুফকে যে ভূমি দান করেছিলেন, সেই নগর তার নিকটবর্তী।
6. আর সেই স্থানে ইয়াকুবের কূপ ছিল। তখন তিনি পথশ্রান্ত হওয়াতে সেই কূপের পাশেই বসলেন। বেলা তখন অনুমান ষষ্ঠ ঘটিকা। সামেরিয়ার এক জন স্ত্রীলোক সেই কূপ থেকে পানি তুলতে আসল।
7. ঈসা তাকে বললেন, আমাকে পান করার পানি দাও।
8. কেননা তাঁর সাহাবীরা খাদ্য ক্রয় করতে নগরে গিয়েছিলেন।
9. তাতে সামেরীয় স্ত্রীলোকটি বললো, আপনি ইহুদী হয়ে কেমন করে আমার কাছে পান করার পানি চাচ্ছেন? আমি তো সামেরীয় স্ত্রীলোক। —কেননা সামেরীয়দের সঙ্গে ইহুদীদের কোন দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক নেই।—
10. জবাবে ঈসা তাকে বললেন, তুমি যদি জানতে, আল্লাহ্র দান কি, আর কে তোমাকে বলছে, ‘আমাকে পান করার পানি দাও’, তবে তাঁরই কাছে তুমি যাচ্ঞা করতে এবং তিনি তোমাকে জীবন্ত পানি দিতেন।
11. স্ত্রীলোকটি তাঁকে বললো, হুজুর, পানি তুলবার কোন পাত্র আপনার কাছে নেই, কূপটিও গভীর; তবে সেই জীবন্ত পানি কোথা থেকে পেলেন?
12. আমাদের পূর্ব-পুরুষ ইয়াকুব থেকে কি আপনি মহান? তিনিই আমাদেরকে এই কূপ দিয়েছেন, আর এর পানি তিনি নিজে ও তাঁর পুত্ররা পান করতেন, তাঁর পশুপালও পান করতো।
13. জবাবে ঈসা তাকে বললেন, যে কেউ এই পানি পান করে, তার আবার পিপাসা পাবে;
14. কিন্তু আমি যে পানি দেব, তা যে কেউ পান করে, তার পিপাসা আর কখনও হবে না; বরং আমি তাকে যে পানি দেব, তা তার অন্তরে এমন পানির ফোয়ারা হবে, যা অনন্ত জীবন পর্যন্ত উথলে উঠবে।
15. স্ত্রীলোকটি তাঁকে বললো, হুজুর, সেই পানি আমাকে দিন, যেন আমার পিপাসা না পায় এবং পানি তুলবার জন্য এতটা পথ হেঁটে আসতে না হয়।