27. এই সময় তাঁর সাহাবীরা আসলেন এবং আশ্চর্য হলেন যে, তিনি এক জন স্ত্রীলোকের সঙ্গে কথা বলছেন, তবুও কেউ বললেন না আপনি কি চান? কিংবা, কি জন্য ওর সঙ্গে কথা বলছেন?
28. তখন সেই স্ত্রীলোকটি নিজের কলসী ফেলে রেখে নগরে গেল,
29. আর লোকদেরকে বললো, এসো, এক জন মানুষকে দেখ, আমি যা কিছু করেছি, তিনি সকলই আমাকে বলে দিলেন; তিনিই কি সেই মসীহ্ নন?
30. তারা নগর থেকে বের হয়ে তাঁর কাছে আসতে লাগল।
31. ইতোমধ্যে সাহাবীরা তাঁকে ফরিয়াদ করে বললেন, রব্বি, আহার করুন।
32. কিন্তু তিনি তাঁদেরকে বললেন, খাবারের জন্য আমার এমন খাদ্য আছে, যা তোমরা জান না।
33. অতএব সাহাবীরা পরস্পর বলতে লাগলেন, কেউ কি তাঁকে খাদ্য এনে দিয়েছে?
34. ঈসা তাঁদেরকে বললেন, আমার খাদ্য এই, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, যেন তাঁর ইচ্ছা পালন করি ও তাঁর কাজ সাধন করি।
35. তোমরা কি বল না, আর চার মাস পরে শস্য কাটার সময় হবে? দেখ, আমি তোমাদেরকে বলছি, চোখ তুলে ক্ষেতের প্রতি দৃষ্টিপাত কর, শস্য এখনই কাটার মত সাদা রংয়ের হয়েছে।
36. যে কাটে সে বেতন পায় এবং অনন্ত জীবনের জন্য শস্য সংগ্রহ করে; যেন, যে বুনে ও যে কাটে, উভয়ে একত্র আনন্দ করে।
37. কেননা এই স্থলে এই কথা সত্যি, এক জন বুনে, আর এক জন কাটে।
38. আমি তোমাদেরকে এমন শস্য কাটতে প্রেরণ করলাম, যার জন্য তোমরা পরিশ্রম কর নি; অন্যেরা পরিশ্রম করেছে এবং তোমরা তাদের শ্রম-ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছ।
39. সেই নগরের সামেরীয়রা অনেকে সেই স্ত্রীলোকটি যে সাক্ষ্য দিয়েছিল— আমি যা কিছু করেছি, তিনি আমাকে সকলই বলে দিলেন— তার এই কথার জন্য তাঁর উপর ঈমান আনলো।
40. অতএব সেই সামেরিয়েরা যখন তাঁর কাছে আসল, তখন তাঁকে ফরিয়াদ করলো, যেন তিনি তাদের কাছে অবস্থিতি করেন; তাতে তিনি দুই দিন সেখানে অবস্থান করলেন।