30. সিরকা গ্রহণ করার পর ঈসা বললেন, ‘সমাপ্ত হল’; পরে মাথা নত করে রূহ্ সমর্পণ করলেন।
31. সেদিন আয়োজন দিন, অতএব বিশ্রামবারে সেই দেহগুলো যেন ক্রুশের উপরে না থাকে— কেননা ঐ বিশ্রামবার মহাদিন ছিল— এজন্য ইহুদীরা পীলাতের কাছে নিবেদন করলো, যেন তাদের পা ভেঙ্গে তাদেরকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
32. অতএব সৈন্যেরা এসে ঐ প্রথম ব্যক্তির এবং তার সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ অন্য ব্যক্তির পা ভাঙ্গল;
33. কিন্তু তারা যখন ঈসার কাছে এসে দেখলো যে, তিনি ইন্তেকাল করেছেন, তখন তাঁর পা ভাঙ্গল না।
34. কিন্তু এক জন সৈন্য বর্শা দিয়ে তাঁর পাঁজরে খোঁচা মারল; আর তাতে তখনই সেখান থেকে রক্ত ও পানি বের হয়ে আসল।
35. যে ব্যক্তি দেখেছে, সে সাক্ষ্য দিয়েছে এবং তার সাক্ষ্য যথার্থ; আর সে জানে যে, সে সত্যি বলছে, যেন তোমরাও বিশ্বাস কর।
36. কারণ এসব ঘটলো, যেন পাক-কিতাবের এই কালাম পূর্ণ হয়,“তাঁর একখানি অস্থিও ভাঙ্গা হবে না।”
37. আবার পাক-কিতাবের আর একটি কথা এই,“তারা যাঁকে বিদ্ধ করেছে,তাঁর প্রতি দৃষ্টিপাত করবে।”
38. এর পরে অরিমাথিয়ার ইউসুফ— যিনি ঈসার সাহাবী ছিলেন, কিন্তু ইহুদীদের ভয়ে গুপ্তভাবেই ছিলেন— তিনি পীলাতকে নিবেদন করলেন, যেন তিনি ঈসার লাশ নিয়ে যেতে পারেন। পীলাত অনুমতি দিলে পর তিনি এসে ঈসার লাশ নিয়ে গেলেন।
39. আর যিনি প্রথমে রাতের বেলায় তাঁর কাছে এসেছিলেন, সেই নীকদীমও গন্ধরসে মিশানো অনুমান পঞ্চাশ সের অগুরু নিয়ে আসলেন।
40. তখন তাঁরা ঈসার লাশ নিয়ে ইহুদীদের কবর দেবার রীতি অনুযায়ী ঐ সুগন্ধি দ্রব্যের সঙ্গে মসীনার কাপড় দিয়ে বাঁধলেন।