21. অতএব ইহুদীদের প্রধান ইমামেরা, পীলাতকে বললো, ‘ইহুদীদের বাদশাহ্,’ এমন কথা লিখবেন না, কিন্তু লিখুন যে, এই ব্যক্তি বলতো, আমি ইহুদীদের বাদশাহ্।’
22. পীলাত জবাবে বললেন, যা লিখেছি, তা লিখেছি।
23. ঈসাকে ক্রুশে দেবার পরে সৈন্যেরা তাঁর কাপড়গুলো নিয়ে চার ভাগ করে প্রত্যেক সৈন্যকে এক এক ভাগ দিল এবং জামাও নিল; ঐ জামায় কোন সেলাই ছিল না, উপর থেকে সমস্তটাই বোনা ছিল।
24. অতএব তারা পরস্পর বললো, এটি চিরব না, এসো, আমরা গুলিবাঁট করে দেখি, এটি কার হবে; যেন পাক-কিতাবের এই কালাম পূর্ণ হয়,“তারা নিজেদের মধ্যে আমার কাপড়গুলো ভাগ করলো,আর আমার কাপড়ের জন্য গুলিবাঁট করলো।”
25. বাস্তবিক সৈন্যরা তা-ই করলো। আর ঈসার ক্রুশের কাছে তাঁর মা ও তাঁর মায়ের বোন, ক্লোপার (স্ত্রী) মরিয়ম এবং মগ্দলিনী মরিয়ম, এঁরা দাঁড়িয়েছিলেন।
26. ঈসা তাঁর মাকে দেখে এবং যাঁকে মহব্বত করতেন, সেই সাহাবী কাছে দাঁড়িয়ে আছেন দেখে মাকে বললেন, হে নারী, ঐ দেখ, তোমার পুত্র।
27. পরে তিনি সেই সাহাবীকে বললেন, ঐ দেখ তোমার মা। তাতে সেই সময় থেকে ঐ সাহাবী তাঁকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেলেন।
28. এর পরে ঈসা, সমস্তই এখন সমাপ্ত হল জেনে পাক-কিতাবের কালাম যেন সিদ্ধ হয়, এজন্য বললেন, ‘আমার পিপাসা পেয়েছে’।
29. সেই স্থানে সিরকায় পূর্ণ একটি পাত্র ছিল; তাতে লোকেরা সিরকায় পূর্ণ একটি স্পঞ্জ এসোব নলে লাগিয়ে তাঁর মুখের কাছ ধরলো।
30. সিরকা গ্রহণ করার পর ঈসা বললেন, ‘সমাপ্ত হল’; পরে মাথা নত করে রূহ্ সমর্পণ করলেন।
31. সেদিন আয়োজন দিন, অতএব বিশ্রামবারে সেই দেহগুলো যেন ক্রুশের উপরে না থাকে— কেননা ঐ বিশ্রামবার মহাদিন ছিল— এজন্য ইহুদীরা পীলাতের কাছে নিবেদন করলো, যেন তাদের পা ভেঙ্গে তাদেরকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
32. অতএব সৈন্যেরা এসে ঐ প্রথম ব্যক্তির এবং তার সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ অন্য ব্যক্তির পা ভাঙ্গল;
33. কিন্তু তারা যখন ঈসার কাছে এসে দেখলো যে, তিনি ইন্তেকাল করেছেন, তখন তাঁর পা ভাঙ্গল না।