ইউহোন্না 19:13-24 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

13. এই কথা শুনে পীলাত ঈসাকে বাইরে আনলেন এবং শিলাস্তরণ নামক স্থানে বিচারাসনে বসলেন; সেই স্থানের ইবরানী নাম গব্বথা।

14. সেদিন ঈদুল ফেসাখের আয়োজন দিন; বেলা অনুমান ছয় ঘটিকা। পীলাত ইহুদীদেরকে বললেন, দেখ, তোমাদের বাদশাহ্‌।

15. তাতে তারা চেঁচিয়ে বললো, দূর কর, দূর কর, ওকে ক্রুশে দাও। পীলাত তাদেরকে বললেন, তোমাদের বাদশাহ্‌কে কি ক্রুশে দেব? প্রধান ইমামেরা জবাবে বললো, সীজার ছাড়া আমাদের অন্য বাদশাহ্‌ নেই।

16. তখন তিনি ঈসাকে তাদের হাতে তুলে দিলেন, যেন তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়।

17. তখন তারা ঈসাকে নিল; এবং তিনি নিজে ক্রুশ বহন করতে করতে বের হয়ে মাথার খুলি নামক স্থানে গেলেন। ইবরানী ভাষায় সেই স্থানকে গল্‌গথা বলে।

18. সেখানে তারা তাঁকে ক্রুশে দিল এবং তাঁর সঙ্গে আর দুই জনকে দুই পাশে ও মধ্যস্থানে ঈসাকে দিল।

19. আর পীলাত একখানি দোষপত্র লিখে ক্রুশের উপরিভাগে লাগিয়ে দিলেন। তাতে এই কথা লেখা ছিল, ‘নাসরতীয় ঈসা, ইহুদীদের বাদশাহ্‌।’

20. তখন ইহুদীরা অনেকে সেই দোষপত্র পাঠ করলো, কারণ যেখানে ঈসাকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল, সেই স্থান নগরের সন্নিকট এবং সেটি ইবরানী, রোমীয় ও গ্রীক ভাষায় লেখা ছিল।

21. অতএব ইহুদীদের প্রধান ইমামেরা, পীলাতকে বললো, ‘ইহুদীদের বাদশাহ্‌,’ এমন কথা লিখবেন না, কিন্তু লিখুন যে, এই ব্যক্তি বলতো, আমি ইহুদীদের বাদশাহ্‌।’

22. পীলাত জবাবে বললেন, যা লিখেছি, তা লিখেছি।

23. ঈসাকে ক্রুশে দেবার পরে সৈন্যেরা তাঁর কাপড়গুলো নিয়ে চার ভাগ করে প্রত্যেক সৈন্যকে এক এক ভাগ দিল এবং জামাও নিল; ঐ জামায় কোন সেলাই ছিল না, উপর থেকে সমস্তটাই বোনা ছিল।

24. অতএব তারা পরস্পর বললো, এটি চিরব না, এসো, আমরা গুলিবাঁট করে দেখি, এটি কার হবে; যেন পাক-কিতাবের এই কালাম পূর্ণ হয়,“তারা নিজেদের মধ্যে আমার কাপড়গুলো ভাগ করলো,আর আমার কাপড়ের জন্য গুলিবাঁট করলো।”

ইউহোন্না 19