24. পরে হানন বাঁধা অবস্থায় তাঁকে মহা-ইমাম কাইয়াফার কাছে প্রেরণ করলেন।
25. শিমোন পিতর দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন। তখন লোকেরা তাঁকে বললো, তুমিও কি ওর সাহাবীদের এক জন? তিনি অস্বীকার করলেন, বললেন, আমি নই।
26. মহা-ইমামের এক গোলাম, পিতর যার কান কেটে ফেলেছিলেন, তার এক জন আত্মীয় বললো, আমি কি বাগানে ওর সঙ্গে তোমাকে দেখি নি?
27. তখন পিতর আবার অস্বীকার করলেন এবং তৎক্ষণাৎ মোরগ ডেকে উঠলো।
28. পরে লোকেরা ঈসাকে কাইয়াফার কাছ থেকে খুব ভোরে রাজপ্রাসাদে নিয়ে গেল। আর তারা যেন নাপাক না হয়, কিন্তু ঈদুল ফেসাখের মেজবানী ভোজন করতে পারে, এজন্য তারা রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করলো না।
29. অতএব পীলাত বাইরে তাদের কাছে গেলেন ও বললেন, তোমরা এই ব্যক্তির উপরে কি দোষারোপ করছো?
30. তারা জবাবে তাঁকে বললো, এ যদি দুষ্কর্মকারী না হত, আমরা আপনার হাতে একে তুলে দিতাম না।
31. তখন পীলাত তাদেরকে বললেন, তোমরাই ওকে নিয়ে যাও এবং তোমাদের শরীয়ত মতে ওর বিচার কর। ইহুদীরা তাঁকে বললো, কোন ব্যক্তিকে হত্যা করতে আমাদের অধিকার নেই—
32. যেন ঈসার সেই কথা পূর্ণ হয়, যা বলে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর কি রকম মৃত্যু হবে।
33. তখন পীলাত আবার রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করলেন এবং ঈসাকে ডেকে তাঁকে বললেন, তুমিই কি ইহুদীদের বাদশাহ্?
34. জবাবে ঈসা বললেন, তুমি কি এই কথা নিজের থেকে বলছো? না অন্যেরা আমার বিষয়ে তোমাকে এই কথা বলে দিয়েছে?
35. পীলাত জবাবে বললেন, আমি কি ইহুদী? তোমার স্বজাতির লোকেরা ও প্রধান ইমামেরাই আমার কাছে তোমাকে তুলে দিয়েছে; তুমি কি করেছ?
36. জবাবে ঈসা বললেন, আমার রাজ্য এই দুনিয়ার নয়; যদি আমার রাজ্য এই দুনিয়ার হত, তবে আমার অনুচরেরা প্রাণপণ করতো, যেন আমি ইহুদীদের হাতে না পড়ি; কিন্তু আমার রাজ্য তো এখানকার নয়।
37. তখন পীলাত তাঁকে বললেন, তবে তুমি কি বাদশাহ্? জবাবে ঈসা বললেন, তুমিই বলছো যে, আমি বাদশাহ্। আমি এজন্যই জন্মগ্রহণ করেছি ও এজন্য দুনিয়াতে এসেছি, যেন সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিই। যে কেউ সত্যের, সে আমার কথা শোনে।
38. পীলাত তাঁকে বললেন, সত্য কি?এই কথা বলে তিনি আবার বাইরে ইহুদীদের কাছে গেলেন এবং তাদেরকে বললেন, আমি তো এর কোনই দোষ পাচ্ছি না।
39. কিন্তু তোমাদের এমন এক রীতি আছে যে, আমি ঈদুল ফেসাখের সময়ে তোমাদের জন্য এক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিই; ভাল, তোমরা কি ইচ্ছা কর যে, আমি তোমাদের জন্য ইহুদীদের বাদশাহ্কে ছেড়ে দেব?