20. জবাবে ঈসা তাকে বললেন, আমি স্পষ্টভাবে দুনিয়ার কাছে কথা বলেছি; আমি সব সময় মজলিস-খানায় ও বায়তুল-মোকাদ্দসে শিক্ষা দিয়েছি, যেখানে ইহুদীরা সকলে একত্র হয়; গোপনে কিছু বলি নি।
21. আমাকে কেন জিজ্ঞাসা কর? যারা শুনেছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, আমি কি বলেছি; দেখ, আমি কি কি বলেছি, এরা জানে।
22. তিনি যখন এই কথা বললেন তখন পদাতিকদের এক জন, যে কাছে দাঁড়িয়ে ছিল, সে ঈসাকে চড় মেরে বললো, মহা-ইমামকে এমন জবাব দিলি?
23. ঈসা তাকে বললেন, যদি মন্দ বলে থাকি, সেই মন্দের সাক্ষ্য দাও; কিন্তু যদি ভাল বলে থাকি, কি জন্য আমাকে মার?
24. পরে হানন বাঁধা অবস্থায় তাঁকে মহা-ইমাম কাইয়াফার কাছে প্রেরণ করলেন।
25. শিমোন পিতর দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন। তখন লোকেরা তাঁকে বললো, তুমিও কি ওর সাহাবীদের এক জন? তিনি অস্বীকার করলেন, বললেন, আমি নই।
26. মহা-ইমামের এক গোলাম, পিতর যার কান কেটে ফেলেছিলেন, তার এক জন আত্মীয় বললো, আমি কি বাগানে ওর সঙ্গে তোমাকে দেখি নি?
27. তখন পিতর আবার অস্বীকার করলেন এবং তৎক্ষণাৎ মোরগ ডেকে উঠলো।
28. পরে লোকেরা ঈসাকে কাইয়াফার কাছ থেকে খুব ভোরে রাজপ্রাসাদে নিয়ে গেল। আর তারা যেন নাপাক না হয়, কিন্তু ঈদুল ফেসাখের মেজবানী ভোজন করতে পারে, এজন্য তারা রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করলো না।
29. অতএব পীলাত বাইরে তাদের কাছে গেলেন ও বললেন, তোমরা এই ব্যক্তির উপরে কি দোষারোপ করছো?
30. তারা জবাবে তাঁকে বললো, এ যদি দুষ্কর্মকারী না হত, আমরা আপনার হাতে একে তুলে দিতাম না।
31. তখন পীলাত তাদেরকে বললেন, তোমরাই ওকে নিয়ে যাও এবং তোমাদের শরীয়ত মতে ওর বিচার কর। ইহুদীরা তাঁকে বললো, কোন ব্যক্তিকে হত্যা করতে আমাদের অধিকার নেই—