13. কেউ যদি আপন বন্ধুদের জন্য নিজের প্রাণ দেয়, তবে তার চেয়ে বেশি মহব্বত কারো নেই।
14. আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত হুকুম দিচ্ছি, তা যদি পালন কর, তবে তোমরা আমার বন্ধু।
15. আমি তোমাদেরকে আর গোলাম বলি না, কেননা প্রভু কি করেন, গোলাম তা জানে না; কিন্তু তোমাদেরকে আমি বন্ধু বলেছি, কারণ আমার পিতার কাছে যা যা শুনেছি, সকলই তোমাদেরকে জানিয়েছি।
16. তোমরা যে আমাকে মনোনীত করেছ, এমন নয়, কিন্তু আমিই তোমাদেরকে মনোনীত করেছি; আর আমি তোমাদেরকে নিযুক্ত করেছি, যেন তোমরা গিয়ে ফলবান হও এবং তোমাদের ফল যেন থাকে; যেন তোমরা আমার নামে পিতার কাছে যা কিছু যাচ্ঞা করবে, তা তিনি তোমাদেরকে দেন।
17. এসব তোমাদেরকে হুকুম করছি, যেন তোমরা পরস্পর মহব্বত কর।
18. দুনিয়া তোমাদেরকে ঘৃণা করে, আর তোমরা তো জান যে, সে তোমাদের আগে আমাকে ঘৃণা করেছে।
19. তোমার যদি দুনিয়ার হতে, তবে দুনিয়া তার নিজের মনে করে তোমাদের মহব্বত করতো; কিন্তু তোমরা তো দুনিয়ার নও, বরং আমি তোমাদেরকে দুনিয়ার মধ্যে থেকে মনোনীত করেছি, এজন্য দুনিয়া তোমাদেরকে ঘৃণা করে।
20. আমি তোমাদেরকে যা বলেছি, আমার সেই কথা স্মরণে রেখো, ‘গোলাম তার মালিক থেকে বড় নয়;’ লোকে যখন আমাকে নির্যাতন করেছে, তখন তোমাদেরকেও নির্যাতন করবে; তারা যদি আমার কথা পালন করতো, তোমাদের কথাও পালন করতো।
21. কিন্তু তারা আমার নামের জন্য তোমাদের প্রতি এ সব করবে, কারণ আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন, তাঁকে তারা জানে না।
22. আমি যদি না আসতাম ও তাদের কাছে কথা না বলতাম, তবে তাদের গুনাহ্ হত না; কিন্তু এখন তাদের গুনাহ্ ঢাকবার উপায় নেই।
23. যে আমাকে ঘৃণা করে, সে আমার পিতাকেও ঘৃণা করে।
24. যেরকম কাজ আর কেউ কখনও করে নি, সেরকম কাজ যদি আমি তাদের মধ্যে না করতাম, তবে তাদের গুনাহ্ হত না; কিন্তু এখন তারা আমাকে ও আমার পিতাকে, উভয়কেই দেখেছে এবং ঘৃণা করেছে।
25. কিন্তু এরকম হল, যেন তাদের শরীয়তে লেখা এই কালাম পূর্ণ হয়, “তারা অকারণে আমাকে ঘৃণা করেছে”।
26. যাঁকে আমি পিতার কাছ থেকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব, সত্যের সেই রূহ্, যিনি পিতার কাছ থেকে বের হয়ে আসেন — যখন সেই সহায় আসবেন — তিনিই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেবেন।
27. আর তোমরাও সাক্ষী, কারণ তোমরা প্রথম থেকে আমার সঙ্গে সঙ্গে আছ।