26. আর যে কেউ জীবিত আছে এবং আমার উপর ঈমান আনে, সে কখনও মরবে না; এই কথা কি বিশ্বাস কর?
27. তিনি বললেন, হ্যাঁ, প্রভু, আমি বিশ্বাস করেছি যে, দুনিয়াতে যাঁর আগমন হবে, আপনি সেই মসীহ্, আল্লাহ্র পুত্র।
28. এই কথা বলে মার্থা চলে গেলেন, আর তাঁর বোন মরিয়মকে গোপনে ডেকে বললেন, হুজুর উপস্থিত, তোমাকে ডাকছেন।
29. তিনি এই কথা শুনে শীঘ্র উঠে তাঁর কাছে গেলেন।
30. ঈসা তখনও গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করেন নি; যেখানে মার্থা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, সেই স্থানেই ছিলেন।
31. তখন যে ইহুদীরা মরিয়মের সঙ্গে বাড়ির মধ্যে ছিল ও তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিল তারা তাঁকে শীঘ্র উঠে বাইরে যেতে দেখে তাঁর পিছনে পিছনে চললো, মনে করলো, তিনি কবরের কাছে কাঁদতে যাচ্ছেন।
32. ঈসা যেখানে ছিলেন, মরিয়ম যখন সেখানে আসলেন, তখন তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়ে বললেন, প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন, আমার ভাই মারা যেত না।
33. ঈসা যখন দেখলেন, তিনি কাঁদছেন ও তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যে ইহুদীরা এসেছিল তাঁরাও কাঁদছে, তখন তিনি রূহে উত্তেজিত হয়ে উঠলেন ও খুব অস্থির হলেন। ঈসা বললেন, তাকে কোথায় দাফন করেছ?
34. তাঁরা বললো, প্রভু, এসে দেখুন।
35. ঈসা কাঁদলেন।
36. তাঁতে ইহুদীরা বললো, দেখ, ইনি তাঁকে কেমন মহব্বত করতেন।
37. কিন্তু তাদের কেউ কেউ বললো, এই যে ব্যক্তি অন্ধের চোখ খুলে দিয়েছেন, ইনি কি ওর মৃত্যুও নিবারণ করতে পারতেন না?
38. তাতে ঈসা পুনর্বার অন্তরে উত্তেজিত হয়ে কবরের কাছে আসলেন। সেই কবর একটা গহ্বর এবং তার উপরে একখানি পাথর ছিল।