28. আর আমি তাদেরকে অনন্ত জীবন দিই, তারা কখনই বিনষ্ট হবে না এবং কেউই আমার হাত থেকে তাদেরকে কেড়ে নেবে না।
29. আমার পিতা, যিনি তাদের আমাকে দিয়েছেন, তিনি সবচেয়ে মহান; এবং কেউই পিতার হাত থেকে কিছুই কেড়ে নিতে পারে না।
30. আমি ও পিতা, আমরা এক।
31. ইহুদীরা আবার তাঁকে মারবার জন্য পাথর তুললো।
32. ঈসা তাদেরকে জবাবে বললেন, পিতা থেকে তোমাদেরকে অনেক উত্তম কাজ দেখিয়েছি, তার কোন্ কাজের জন্য আমাকে পাথর মারতে চাও?
33. ইহুদীরা তাঁকে এই জবাব দিল, উত্তম কাজের জন্য তোমাকে পাথর মারতে চাই না, কিন্তু কুফরী করার জন্য পাথর মারি, কারণ তুমি মানুষ হয়ে নিজেকে আল্লাহ্ বলে দাবী করছো।
34. ঈসা তাদেরকে জবাবে বললেন, তোমাদের শরীয়তে কি লেখা নেই, “আমি বললাম, তোমরা আল্লাহ্”?
35. যাদের কাছে আল্লাহ্র কালাম উপস্থিত হয়েছিল, তিনি যদি তাদেরকে আল্লাহ্ বলেন— আর
36. পাক-কিতাবের কথা তো খণ্ডন হতে পারে না— তবে যাঁকে পিতা পবিত্র করলেন ও দুনিয়াতে প্রেরণ করলেন, তোমরা কি তাঁকে বল যে, তুমি কুফরী করছো, কেননা আমি বললাম যে, আমি ইবনুল্লাহ্?
37. আমার পিতার কাজ যদি না করি, তবে আমাকে বিশ্বাস করো না।
38. কিন্তু যদি করি, আমাকে বিশ্বাস না করলেও, সেই কাজে বিশ্বাস কর; যেন তোমরা জানতে পার ও বুঝতে পার যে, পিতা আমার মধ্যে আছেন এবং আমি পিতার মধ্যে আছি।
39. তারা আবার তাঁকে ধরতে চেষ্টা করলো, কিন্তু তিনি তাদের হাত এড়িয়ে বের হয়ে গেলেন।
40. পরে তিনি আবার জর্ডান নদীর অন্য পারে, যেখানে ইয়াহিয়া প্রথমে বাপ্তিস্ম দিতেন, সেই স্থানে গেলেন; আর সেখানে থাকতে লাগলেন।
41. তাতে অনেকে তাঁর কাছে আসল এবং বললো, ইয়াহিয়া কোন চিহ্ন-কাজ করেন নি, কিন্তু এই ব্যক্তির বিষয়ে ইয়াহিয়া যেসব কথা বলেছিলেন, সে সবই সত্যি।
42. আর সেখানে অনেকে তাঁর উপর ঈমান আনলো।