21. অন্যেরা বললো, এসব তো বদ-রূহে পাওয়া লোকের কথা নয়; বদ-রূহ্ কি অন্ধদের চোখ খুলে দিতে পারে?
22. সেই সময়ে জেরুশালেমে এবাদতখানা-প্রতিষ্ঠার ঈদ উপস্থিত হল;
23. তখন শীতকাল আর ঈসা বায়তুল-মোকাদ্দসে সোলায়মানের বারান্দায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
24. তাতে ইহুদীরা তাঁকে ঘিরে বলতে লাগল, আর কত কাল আমাদের সন্দেহের মধ্যে রাখবে? তুমি যদি মসীহ্ হও তবে স্পষ্ট করে আমাদেরকে বল।
25. ঈসা জবাবে বললেন, আমি তোমাদেরকে বলেছি, তবুও তোমরা বিশ্বাস কর না। আমি যেসব কাজ আমার পিতার নামে করছি, সেসব আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছে।
26. কিন্তু তোমরা বিশ্বাস কর না, কারণ তোমরা আমার মেষদের মধ্যে নও।
27. আমার মেষেরা আমার কণ্ঠস্বর শোনে, আর আমি তাদেরকে জানি এবং তারা আমার পিছনে পিছনে চলে;
28. আর আমি তাদেরকে অনন্ত জীবন দিই, তারা কখনই বিনষ্ট হবে না এবং কেউই আমার হাত থেকে তাদেরকে কেড়ে নেবে না।
29. আমার পিতা, যিনি তাদের আমাকে দিয়েছেন, তিনি সবচেয়ে মহান; এবং কেউই পিতার হাত থেকে কিছুই কেড়ে নিতে পারে না।
30. আমি ও পিতা, আমরা এক।
31. ইহুদীরা আবার তাঁকে মারবার জন্য পাথর তুললো।
32. ঈসা তাদেরকে জবাবে বললেন, পিতা থেকে তোমাদেরকে অনেক উত্তম কাজ দেখিয়েছি, তার কোন্ কাজের জন্য আমাকে পাথর মারতে চাও?
33. ইহুদীরা তাঁকে এই জবাব দিল, উত্তম কাজের জন্য তোমাকে পাথর মারতে চাই না, কিন্তু কুফরী করার জন্য পাথর মারি, কারণ তুমি মানুষ হয়ে নিজেকে আল্লাহ্ বলে দাবী করছো।
34. ঈসা তাদেরকে জবাবে বললেন, তোমাদের শরীয়তে কি লেখা নেই, “আমি বললাম, তোমরা আল্লাহ্”?
35. যাদের কাছে আল্লাহ্র কালাম উপস্থিত হয়েছিল, তিনি যদি তাদেরকে আল্লাহ্ বলেন— আর
36. পাক-কিতাবের কথা তো খণ্ডন হতে পারে না— তবে যাঁকে পিতা পবিত্র করলেন ও দুনিয়াতে প্রেরণ করলেন, তোমরা কি তাঁকে বল যে, তুমি কুফরী করছো, কেননা আমি বললাম যে, আমি ইবনুল্লাহ্?
37. আমার পিতার কাজ যদি না করি, তবে আমাকে বিশ্বাস করো না।
38. কিন্তু যদি করি, আমাকে বিশ্বাস না করলেও, সেই কাজে বিশ্বাস কর; যেন তোমরা জানতে পার ও বুঝতে পার যে, পিতা আমার মধ্যে আছেন এবং আমি পিতার মধ্যে আছি।