5. আর সেই নূর অন্ধকারের মধ্যে আলো দিচ্ছে, আর সেই অন্ধকার নূরকে জয় করতে পারে নি।
6. এক জন মানুষ উপস্থিত হলেন, তিনি আল্লাহ্ থেকে প্রেরিত হয়েছিলেন, তাঁর নাম ইয়াহিয়া।
7. তিনি সাক্ষ্যের জন্য এসেছিলেন, যেন সেই নূরের বিষয়ে সাক্ষ্য দেন, যেন সকলে তাঁর সাক্ষ্য শুনে ঈমান আনে।
8. তিনি নিজে সেই নূর ছিলেন না, কিন্তু আসলেন যেন সেই নূরের বিষয়ে সাক্ষ্য দেন।
9. প্রকৃত নূর, যিনি সকল মানুষের মধ্যে নূর দান করেন, তিনি দুনিয়াতে আসছিলেন।
10. তিনি দুনিয়াতেই ছিলেন এবং দুনিয়া তাঁর দ্বারাই সৃষ্ট হয়েছিল, আর দুনিয়া তাঁকে চিনলো না।
11. তিনি নিজের অধিকারে আসলেন, আর যারা তাঁর নিজের, তারা তাঁকে গ্রহণ করলো না।
12. কিন্তু যত লোক তাঁকে গ্রহণ করলো, সেই সকলকে, যারা তাঁর নামে ঈমান আনে তাদেরকে, তিনি আল্লাহ্র সন্তান হবার ক্ষমতা দিলেন।
13. তারা রক্ত থেকে নয়, দেহের কামনা-বাসনা থেকে নয়, মানুষের ইচ্ছা হতেও নয়, কিন্তু আল্লাহ্ থেকে জাত।
14. আর সেই কালাম মানব দেহে মূর্তিমান হলেন এবং আমাদের মধ্যে প্রবাস করলেন, আর আমরা তাঁর মহিমা দেখলাম, যেমন পিতা থেকে আগত একজাতের মহিমা; তিনি রহমতে ও সত্যে পূর্ণ।
15. ইয়াহিয়া তাঁর বিষয়ে সাক্ষ্য দিলেন, আর উচ্চৈঃস্বরে বললেন, ইনি সেই ব্যক্তি, যাঁর বিষয়ে আমি বলেছি, যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি আমার অগ্রগণ্য হলেন, কেননা তিনি আমার আগে ছিলেন।
16. কারণ তাঁর পূর্ণতা থেকে আমরা সকলে রহমতের উপরে রহমত পেয়েছি;
17. কারণ শরীয়ত মূসার মধ্য দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রহমত ও সত্য ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে উপস্থিত হয়েছে।
18. আল্লাহ্কে কেউ কখনও দেখে নি; একজাত পুত্র, যিনি পিতার হৃদয়ের কাছে থাকেন, তিনিই তাঁকে প্রকাশ করেছেন।