26. ইয়াহিয়া জবাবে তাদেরকে বললেন, আমি পানিতে বাপ্তিস্ম দিচ্ছি বটে, কিন্তু তোমাদের মধ্যে এক জন দাঁড়িয়ে আছেন, যাঁকে তোমরা জান না,
27. যিনি আমার পরে আসছেন; আমি তাঁর জুতার ফিতা খুলবারও যোগ্য নই।
28. জর্ডান নদীর অন্য পারে, বৈথনিয়াতে, যেখানে ইয়াহিয়া বাপ্তিস্ম দিচ্ছিলেন, সেখানে এসব ঘটলো।
29. পরদিন তিনি ঈসাকে তাঁর কাছে আসতে দেখলেন, আর বললেন, ঐ দেখ, আল্লাহ্র মেষশাবক, যিনি দুনিয়ার গুনাহ্র ভার নিয়ে যান।
30. উনি সেই ব্যক্তি, যার বিষয়ে আমি বলেছিলাম, আমার পরে এমন এক ব্যক্তি আসছেন, যিনি আমার অগ্রগণ্য হলেন, কেননা তিনি আমার আগে ছিলেন।
31. আর আমি তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু তিনি যেন ইসরাইলের কাছ প্রকাশিত হন, এজন্য আমি এসে পানিতে বাপ্তিস্ম দিচ্ছি।
32. আর ইয়াহিয়া সাক্ষ্য দিলেন, বললেন, আমি পাক-রূহ্কে কবুতরের মত বেহেশত থেকে নামতে দেখেছি; তিনি তাঁর উপরে অবস্থিতি করলেন।
33. আর আমি তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু যিনি আমাকে পানিতে বাপ্তিস্ম দিতে পাঠিয়েছেন, তিনিই আমাকে বললেন, যাঁর উপরে রূহ্কে নেমে অবস্থিতি করতে দেখবে, তিনিই সেই ব্যক্তি, যিনি পাক-রূহে বাপ্তিস্ম দেন।
34. আর আমি দেখেছি ও সাক্ষ্য দিয়েছি যে, ইনিই আল্লাহ্র পুত্র।
35. পরদিন পুনরায় ইয়াহিয়া ও তাঁর দু’জন সাহাবী দাঁড়িয়ে ছিলেন;
36. আর ঈসা বেড়াচ্ছিলেন, এমন সময়ে ইয়াহিয়া তাঁর প্রতি দৃষ্টিপাত করে বললেন, ঐ দেখ, আল্লাহ্র মেষশাবক।
37. সেই দুই সাহাবী তাঁর এই কথা শুনে ঈসার পিছনে পিছনে যেতে লাগলেন।
38. তাতে ঈসা ফিরে তাঁদেরকে পিছনে পিছনে আসতে দেখে বললেন, কিসের খোঁজ করছো? তাঁরা বললেন, রব্বি— অনুবাদ করলে এর অর্থ ওস্তাদ— আপনি কোথায় থাকেন?
39. তিনি তাদেরকে বললেন, এসো, দেখবে। অতএব তাঁরা গিয়ে তিনি যেখানে থাকেন সেই স্থান দেখলেন। তারা সেদিন তাঁর কাছে থাকলেন; তখন বেলা অনুমান দশম ঘটিকা।
40. ইয়াহিয়ার কথা শুনে যে দু’জন ঈসার পিছনে পিছনে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে এক জন শিমোন পিতরের ভাই আন্দ্রিয়।
41. তিনি প্রথমে আপন ভাই শিমোনের দেখা পান, আর তাঁকে বলেন, আমরা মসীহের দেখা পেয়েছি— অনুবাদ করলে এর অর্থ অভিষিক্ত।
42. তিনি তাঁকে ঈসার কাছে আনলেন। ঈসা তাঁর প্রতি দৃষ্টিপাত করে বললেন, তুমি ইউহোন্নার পুত্র শিমোন, তোমাকে কৈফা বলে ডাকা হবে— অনুবাদ করলে এর অর্থ পিতর [পাথর]।