23. আমরা আমাদের জন্য যে কোরবানগাহ্ তৈরি করেছি, তা যদি মাবুদের পেছনে চলা থেকে ফিরে যাবার জন্য, কিংবা তার উপরে পোড়ানো-কোরবানী বা শস্য-উৎসর্গ কোরবানী করার জন্য অথবা মঙ্গল-কোরবানী করার জন্য তৈরি করে থাকি, তবে মাবুদ স্বয়ং তার প্রতিফল দিন।
24. আমরা বরং ভয় করে, একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে এই করেছি, ফলত কি জানি, ভাবী কালে তোমাদের সন্তানেরা আমাদের সন্তানদের এই কথা বলবে, ইসরাইলের আল্লাহ্ মাবুদের সঙ্গে তোমাদের সম্পর্ক কি?
25. হে রূবেণ-বংশের লোকেরা, গাদ-বংশের লোকেরা, তোমাদের ও আমাদের উভয়ের মধ্যে মাবুদ জর্ডানকে সীমা করে রেখেছেন; মাবুদের উপর তোমাদের কোন অধিকার নেই। এভাবে পাছে তোমাদের সন্তানেরা আমাদের সন্তানদের মাবুদের ভয় ত্যাগ করায়।
26. এজন্য আমরা বললাম, এসো, আমরা একটি কোরবানগাহ্ নির্মাণের উদ্যোগ নিই, পোড়ানো-কোরবানী বা কোরবানীর জন্য নয়;
27. কিন্তু আমাদের পোড়ানো-কোরবানী, কোরবানী ও আমাদের মঙ্গল করার উপহার দ্বারা মাবুদের সম্মুখে তাঁর সেবা করতে আমাদের অধিকার আছে, এই কথা প্রমাণ করার জন্য তা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে এবং আমাদের পরে আমাদের ভাবী বংশের মধ্যে সাক্ষী হবে; তাতে ভাবী কালে তোমাদের সন্তানেরা আমাদের সন্তানদের বলতে পারবে না যে, মাবুদে তোমাদের কোন অংশ নেই।
28. আর আমরা বললাম, তারা যদি ভাবী কালে আমাদের কিংবা আমাদের বংশকে এই কথা বলে, তবে আমরা বলবো, তোমরা মাবুদের কোরবানগাহ্র ঐ প্রতিরূপ দেখ, আমাদের পূর্বপুরুষরা তা তৈরি করেছে; পোড়ানো-কোরবানী বা কোরবানীর জন্য নয়, কিন্তু ওটা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী।
29. আমরা যে পোড়ানো-কোরবানীর, শস্য-উৎসর্গের কিংবা কোরবানীর জন্য তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের শরীয়ত-তাঁবুর সম্মুখস্থিত তাঁর কোরবানগাহ্ ছাড়া অন্য কোরবানগাহ্ তৈরি দ্বারা মাবুদের বিদ্রোহী হব, কিংবা আমরা যে মাবুদের পিছনে চলা থেকে আজ ফিরে যাব, তা দূরে থাকুক।
30. তখন পীনহস ইমাম, তাঁর সহবর্তী মণ্ডলীর নেতাবৃন্দ ও ইসরাইলের সহস্রপতিরা ও রূবেণ-বংশের, গাদ-বংশের ও মানাশা-বংশের লোকদের এই কথা শুনে সন্তুষ্ট হলেন।
31. আর ইলিয়াসর ইমামের পুত্র পীনহস রূবেণ-বংশ, গাদ-বংশ ও মানাশা-বংশের লোকদের বললেন, আজ আমরা জানলাম যে, মাবুদ আমাদের মধ্যে আছেন, কেননা তোমরা মাবুদের বিরুদ্ধে এই সত্য লঙ্ঘন কর নি; এখন তোমরা বনি-ইসরাইলদেরকে মাবুদের হাত থেকে উদ্ধার করলে।