13. তোমরা আমার পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও তাদের সমস্ত পরিজনকে বাঁচাবে ও মৃত্যু থেকে আমাদের প্রাণ উদ্ধার করবে।
14. সেই দু’জন তাকে বললো, তোমাদের পরিবর্তে আমাদের প্রাণ যাক! তোমরা যদি আমাদের এই কাজ প্রকাশ না কর তবে যে সময় মাবুদ আমাদের এই দেশ দেবেন, সেই সময় আমরা তোমার প্রতি রহম ও বিশ্বস্ত ব্যবহার করবো।
15. পরে সে জানালা দিয়ে দড়ির সাহায্যে তাদের নামিয়ে দিল, কেননা তার বাড়ি নগর প্রাচীরের সঙ্গে যুক্ত ছিল, সে প্রাচীরের উপরে বাস করতো।
16. আর সে তাদের বললো, যারা পিছনে দৌড়ে গেছে তারা যেন তোমাদের সন্ধান না পায় সেজন্য তোমরা পর্বতে যাও। তোমরা তিন দিন সেই স্থানে লুকিয়ে থাক, তারপর যারা পিছনে দৌড়ে গেছে তারা ফিরে আসলে পর তোমরা তোমাদের পথে চলে যেও।
17. সেই লোকেরা জবাবে বললো, তুমি আমাদের যে শপথ করিয়েছ, সেই বিষয়ে আমরা নির্দোষ হবো।
18. দেখ, তুমি যে জানালা দিয়ে আমাদের নামিয়ে দিলে, আমাদের এই দেশে আসার সময়ে সেই জানালায় এই লাল রংয়ের সুতায় তৈরি দড়ি বেঁধে রাখবে এবং তোমার পিতা-মাতা ও ভাইয়েরা আর তোমার সমস্ত পিতৃকুলকে তোমার বাড়িতে একত্র করবে।
19. তখন এরকম হবে, যে কেউ তোমার বাড়ি থেকে বের হয়ে পথে যাবে তার রক্তপাতের অপরাধ তার মাথায় বর্তাবে এবং আমরা নির্দোষ হব; কিন্তু যে কেউ তোমার সঙ্গে বাড়ির মধ্যে থাকে তার উপরে যদি কেউ হাত তোলে, তবে তার রক্তপাতের অপরাধ আমাদের মাথায় বর্তাবে।
20. কিন্তু তুমি যদি আমাদের এই কাজ প্রকাশ কর, তবে তুমি আমাদের দিয়ে যে শপথ করিয়েছ তা থেকে আমরা নির্দোষ হবো।
21. তখন সে বললো, তোমরা যেমন বললে তেমনি হোক। পরে সে তাদের বিদায় করলে তারা প্রস্থান করলো এবং সে ঐ লাল রংয়ের দড়ি জানালায় বেঁধে রাখল।
22. আর তারা গিয়ে পর্বতে উপস্থিত হল এবং যারা তাদের পিছনে দৌড়ে গিয়েছিল তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত তিন দিন সেখানে রইলো; তাতে যারা পিছনে দৌড়ে গিয়েছিল, তারা সমস্ত পথে সন্ধান করেও তাদের উদ্দেশ পেল না।
23. পরে ঐ দুই ব্যক্তি ফিরে পর্বত থেকে নেমে এসে জর্ডান নদী পার হয়ে নূনের পুত্র ইউসার কাছে আসল এবং তাদের প্রতি যা যা ঘটেছিল, তার সমস্ত বৃত্তান্ত তাঁকে বললো।