6. আর এহুদা বংশের লোকেরা গিলগলে ইউসার কাছে এল; আর কনিসীয় যিফুন্নির পুত্র কালুত তাঁকে বললেন, মাবুদ আমার ও তোমার বিষয়ে কাদেশ-বর্ণেয়ে আল্লাহ্র লোক মূসাকে যে কথা বলেছিলেন, তা তোমার জানা আছে।
7. আমার চল্লিশ বছর বয়সের সময়ে মাবুদের গোলাম মূসা দেশ অনুসন্ধান করতে কাদেশ-বর্ণেয় থেকে আমাকে প্রেরণ করেছিলেন, আর আমি সরল অন্তঃকরণে তাঁর কাছে সংবাদ এনে দিয়েছিলাম।
8. আমার যে ভাইয়েরা আমার সঙ্গে গিয়েছিল, তারা লোকদের অন্তর ভয়ে গলিয়ে দিয়েছিল; কিন্তু আমি সম্পূর্ণভাবে আমার আল্লাহ্ মাবুদের অনুগামী ছিলাম।
9. আর মূসা ঐ দিনে শপথ করে বলেছিলেন, যে ভূমির উপরে তুমি তোমার পা রেখেছ, সেই ভূমি তোমার ও চিরকাল তোমার সন্তানদের অধিকার হবে; কেননা তুমি সম্পূর্ণভাবে আমার আল্লাহ্ মাবুদের পিছনে চলছো।
10. আর এখন, দেখ, মরুভূমিতে ইসরাইলের ভ্রমণকালে যে সময়ে মাবুদ মূসাকে সেই কথা বলেছিলেন, সেই সময় থেকে মাবুদ তাঁর কালাম অনুসারে এই পঁয়তাল্লিশ বছর আমাকে জীবিত রেখেছেন; আর এখন, দেখ, আজ আমার বয়স পঁচাশি বছর।
11. মূসা যেদিন আমাকে প্রেরণ করেছিলেন, সেদিন আমি যেমন বলবান ছিলাম, আজও তেমনি আছি; যুদ্ধের জন্য এবং বাইরে যাবার ও ভিতরে আসার জন্য আমার তখন যেমন শক্তি ছিল, এখনও তেমনি শক্তি আছে।
12. অতএব সেদিন মাবুদ এই যে পর্বতের বিষয় বলেছিলেন, এখন এটা আমাকে দাও; কেননা তুমি সেদিন শুনেছিলে যে, অনাকীয়েরা সেখানে থাকে এবং সমস্ত নগর বড় ও প্রাচীরবেষ্টিত; হয়তো মাবুদ আমার সহবর্তী থাকবেন, আর আমি মাবুদের কালাম অনুসারে তাদের অধিকারচ্যুত করবো।
13. তখন ইউসা তাঁকে দোয়া করলেন এবং যিফুন্নির পুত্র কালুতকে অধিকার হিসেবে হেবরন দিলেন।
14. এজন্য আজ পর্যন্ত হেবরনে কনিসীয় যিফুন্নির পুত্র কালেবের অধিকার রয়েছে; কেননা তিনি সমপূর্ণভাবে ইসরাইলের আল্লাহ্ মাবুদের অনুগামী ছিলেন।
15. আগেকার দিনে হেবরনের নাম কিরিয়ৎ-অর্ব (অর্বপুর) ছিল, ঐ অর্ব অনাকীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বলবান লোক ছিলেন। পরে দেশ যুদ্ধ থেকে বিশ্রাম পেল।