7. পরে নাবিকেরা পরসপর বললো, এসো, আমরা গুলিবাঁট করি, তা হলে জানতে পারব, কার দোষে আমাদের প্রতি এই অমঙ্গল ঘটছে। পরে তারা গুলিবাঁট করলো, আর ইউনুসের নামে গুলি উঠলো।
8. তখন তারা তাকে বললো, বল দেখি, কার দোষে আমাদের প্রতি এই অমঙ্গল ঘটছে? তোমার ব্যবসা কি? তুমি কোথা থেকে এসেছো? তুমি কোন্ দেশের লোক? কোন্ জাতির লোক?
9. তিনি তাদেরকে বললেন, আমি এক জন ইবরানী; আমি মাবুদকে ভয় করি, তিনি বেহেশতের আল্লাহ্, তিনি সমুদ্র ও স্থল নির্মাণ করেছেন।
10. তখন সেই লোকেরা ভীষণ ভয় পেয়ে তাঁকে বললো, তুমি এ কি কাজ করেছ? কেননা তিনি যে মাবুদের সম্মুখ থেকে পালাচ্ছেন, তা তারা জানত, কারণ তিনি তাদেরকে বলেছিলেন।
11. পরে তারা তাঁকে বললো, আমরা তোমাকে কি করলে সমুদ্র আমাদের প্রতি ক্ষান্ত হতে পারে? কেননা সমুদ্র উত্তরোত্তর প্রচণ্ড হয়ে উঠছিল।
12. তিনি তাদেরকে বললেন, আমাকে ধরে সমুদ্রে ফেলে দাও, তাতে সমুদ্র তোমাদের পক্ষে ক্ষান্ত হবে; কেননা আমি জানি, আমারই দোষে তোমাদের উপরে এই ভারী ঝড় উপস্থিত হয়েছে।
13. তবুও সেই লোকেরা জাহাজ ফিরিয়ে ডাঙ্গায় নিয়ে যাবার জন্য ঢেউ কাটতে চেষ্টা করতে লাগল; কিন্তু পারল না, কারণ সমুদ্র তাদের বিপরীতে উত্তরোত্তর প্রচণ্ড হয়ে উঠছিল।
14. এজন্য তারা মাবুদকে ডাকতে লাগল, আর বললো, ফরিয়াদ করি, হে মাবুদ, ফরিয়াদ করি, এই ব্যক্তির প্রাণের জন্য আমাদের বিনাশ না হোক এবং আমাদের উপরে নির্দোষের রক্ত অর্পণ করো না; কেননা, হে মাবুদ, তুমি তোমার ইচ্ছামত কাজ করেছ।
15. পরে তারা ইউনুসকে ধরে সমুদ্রে ফেলে দিল, তাতে সমুদ্র থামল, আর প্রচণ্ড হল না।
16. তখন সেই লোকেরা মাবুদকে ভীষণ ভয় করতে লাগল; আর তারা মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী করলো এবং নানা মানত করলো।
17. আর মাবুদ ইউনুসকে গ্রাস করার জন্য একটা বড় মাছ ঠিক করে রেখেছিলেন; সেই মাছের উদরে ইউনুস তিন দিন ও তিন রাত রইলেন।