5. ক্ষুধিত লোক তার শস্য খেয়ে ফেলে,কাঁটার বেড়া ভেঙে তা হরণ করে,ফাঁদ তার সম্পত্তি গ্রাস করে।
6. কারণ ধূলি থেকে কষ্ট উৎপন্ন হয় না।মাটি থেকে সমস্যা জন্মে না;
7. কিন্তু আগুনের স্ফুলিঙ্গ যেমন উপরে উঠে,তেমনি মানুষ সমস্যার জন্য জন্মে।
8. কিন্তু আমি তো মাবুদের খোঁজ করতাম,আমার নিবেদন আল্লাহ্র কাছে তুলে ধরতাম।
9. তিনি মহৎ মহৎ কাজ করেন, যার সন্ধান করা যায় না,অলৌকিক কাজ করেন, যার সংখ্যা গণনা করে শেষ করা যায় না।
10. তিনি ভূতলে বৃষ্টি প্রদান করেন,তিনি জনপদের উপরে পানি বহান।
11. তিনি নিচু অবস্থার লোকদেরকে উঁচু করেন,যারা শোকার্ত তাদের তিনি নিরাপদে রাখেন।
12. তিনি ধূর্তদের কল্পনা ব্যর্থ করেন,তাদের হাত সঙ্কল্প সাধন করতে পারে না।
13. তিনি জ্ঞানীদেরকে তাদের ধূর্ততায় ধরেন,কুটিলমনাদের মন্ত্রণা শীঘ্র বিফল হয়ে পড়ে।
14. তারা দিনের বেলায় যেন অন্ধকারে ভ্রমণ করে,মধ্যাহ্নে রাতের বেলার মত হাত্ড়ে বেড়ায়।
15. কিন্তু তিনি তলোয়ার থেকে, ওদের কবল থেকে,পরাক্রমীদের হাত থেকে, দরিদ্রকে নিস্তার করেন।
16. এই কারণ দীনহীন আশাযুক্ত হয়,আর অধর্ম নিজের মুখ বন্ধ করে।
17. দেখ, সুখী সেই ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ্ অনুযোগ করেন,অতএব তুমি সর্বশক্তিমানের দেওয়া শাস্তি তুচ্ছ করো না।
18. কেননা তিনি ক্ষত করেন, আবার তিনিই বেঁধে দেন,তিনি আঘাত করেন, কিন্তু তাঁরই হাত সুস্থতা দান করে।
19. তিনি ছয় সঙ্কট থেকে তোমাকে উদ্ধার করবেন,সপ্ত সঙ্কটে কোন বিপদ তোমাকে স্পর্শ করবে না।
20. তিনি তোমাকে দুর্ভিক্ষের সময়ে মৃত্যু থেকে,যুদ্ধের সময়ে তলোয়ারের আঘাত থেকে মুক্ত করবেন।
21. জিহ্বার কশাঘাত থেকে তুমি গুপ্ত থাকবে,বিনাশ আসলে তোমার শঙ্কা হবে না।
22. বিনাশ ও দুর্ভিক্ষের সময় তুমি হাসবে,বন্যপশুদের থেকে তোমার শঙ্কা হবে না।
23. কারণ মাঠের পাথরের সঙ্গে তোমার সন্ধি হবে,মাঠের সমস্ত পশু তোমার সঙ্গে শান্তিতে থাকবে।