8. অধর্মচারীদের সঙ্গে চলেন,দুর্বৃত্তদের পথে গমন করেন।
9. কেননা তিনি বলেছেন, মানুষের কোন লাভ নেই,যখন সে আল্লাহ্র সঙ্গে প্রণয় রাখে।
10. অতএব, হে বুদ্ধিমানেরা, আমার কথা শুনুন,এই কথা দূরে থাকুক যে, আল্লাহ্ দুষ্কর্ম করবেন,সর্বশক্তিমান অন্যায় করবেন।
11. কারণ তিনি মানুষের কাজের ফল তাকে দেন,মানুষের গতি অনুসারে তার দশা ঘটান।
12. আল্লাহ্ তো কখনও দুষ্টাচরণ করেন না,সর্বশক্তিমান কখনও বিচার বিপরীত করেন না।
13. দুনিয়ার কর্তৃত্বভার তাঁকে কে দিল?সমস্ত দুনিয়ার দেখাশুনার কাজে কে তাঁকে লাগাল?
14. যদি তিনি তাঁর নিজের কথাই ভাবতেন,তাঁর রূহ্ ও নিশ্বাস তাঁর নিজের কাছে সংগ্রহ করতেন,
15. তবে সমস্ত মানুষ একেবারে ধ্বংস হয়ে যেত,মানুষ পুনর্বার ধুলিতে ফিরে যেত।
16. যদি আপনার বিবেচনা থাকে, তবে শুনুন,আমার কথায় কান দিন।
17. যে ন্যায়বিদ্বেষী, সে কি শাসন করবে?আপনি কি ধর্মময় পরাক্রমীকে দোষী করবেন?
18. বাদশাহ্কে কি বলা যায়, তুমি অপদার্থ?রাজন্যবর্গকে কি বলা যায়, তোমরা দুষ্ট?
19. কিন্তু তিনি শাসনকর্তাদেরও মুখাপেক্ষা করেন না,দরিদ্রের কাছে ধনবানকেও বিশিষ্ট মনে করেন না,কেননা তারা সকলেই তাঁর হস্তকৃত বস্তু।
20. তাদের হঠাৎ মৃত্যু হয়, মধ্যরাত্রে প্রয়াত হয়,লোকগুলো বিচলিত হয়ে চলে যায়,পরাক্রমী বিনা হস্তক্ষেপে অপনীত হয়।
21. কেননা মানুষের পথে তাঁর দৃষ্টি আছে;তিনি তার প্রতিটি ধাপ দেখেন;
22. এমন অন্ধকার কি মৃত্যুচ্ছায়া নেই,যেখানে দুর্বৃত্তরা লুকাতে পারে।
23. তিনি মানুষের বিষয়ে দীর্ঘকাল চিন্তা করেন না,যখন সে আল্লাহ্র সম্মুখে বিচার স্থানে আসে।
24. তিনি বিনা সন্ধানে পরাক্রান্তদেরকে খণ্ড খণ্ড করেন,তাদের স্থানে অন্যদেরকে স্থাপন করেন।