17. যে ন্যায়বিদ্বেষী, সে কি শাসন করবে?আপনি কি ধর্মময় পরাক্রমীকে দোষী করবেন?
18. বাদশাহ্কে কি বলা যায়, তুমি অপদার্থ?রাজন্যবর্গকে কি বলা যায়, তোমরা দুষ্ট?
19. কিন্তু তিনি শাসনকর্তাদেরও মুখাপেক্ষা করেন না,দরিদ্রের কাছে ধনবানকেও বিশিষ্ট মনে করেন না,কেননা তারা সকলেই তাঁর হস্তকৃত বস্তু।
20. তাদের হঠাৎ মৃত্যু হয়, মধ্যরাত্রে প্রয়াত হয়,লোকগুলো বিচলিত হয়ে চলে যায়,পরাক্রমী বিনা হস্তক্ষেপে অপনীত হয়।
21. কেননা মানুষের পথে তাঁর দৃষ্টি আছে;তিনি তার প্রতিটি ধাপ দেখেন;
22. এমন অন্ধকার কি মৃত্যুচ্ছায়া নেই,যেখানে দুর্বৃত্তরা লুকাতে পারে।
23. তিনি মানুষের বিষয়ে দীর্ঘকাল চিন্তা করেন না,যখন সে আল্লাহ্র সম্মুখে বিচার স্থানে আসে।
24. তিনি বিনা সন্ধানে পরাক্রান্তদেরকে খণ্ড খণ্ড করেন,তাদের স্থানে অন্যদেরকে স্থাপন করেন।
25. এভাবে তিনি তাদের সকল কাজের হিসাব রাখেন,রাতে তাদের উল্টিয়ে ফেলেন, তাতে তারা চূর্ণ হয়।
26. তিনি তাদের দুর্জন বলে প্রহার করেন,সকলের দৃষ্টিগোচরেই করেন;
27. কারণ তারা তাঁর পিছনে চলা থেকে ফিরল,তাঁরা সমস্ত পথ অবহেলা করলো;
28. এভাবে দরিদ্রের কান্না তার কাছে আনা হল;আর তিনি দুঃখীদের কান্না শুনলেন।
29. তিনি শান্তি দিলে কে দোষ দিতে পারে?তিনি মুখ ঢাকলে কে তাঁর দর্শন পেতে পারে?সে জাতিই হোক বা ব্যক্তিই হোক;
30. আল্লাহ্বিহীন লোক যেন রাজত্ব না করে,লোকদেরকে ফাঁদে ফেলতে যেন কেউ না থাকে।
31. কেউ কি আল্লাহ্কে বলেছে, আমি (শাস্তি) পেয়েছি,আর গুনাহ্ করবো না,
32. যা দেখতে পাই না, তা আমাকে শেখাও;যদি অন্যায় করে থাকি, আর করবো না?
33. তাঁর প্রতিদান কি আপনার ইচ্ছামত হবে যে,আপনি তা অগ্রাহ্য করলেন?মনোনীত করা আপনার কাজ, আমার নয়;অতএব আপনি যা জানেন, বলুন।
34. বুদ্ধিমান লোকেরা আমাকে বলবেন,জ্ঞানবানেরা আমার কথা শুনে বলবেন,