3. আবার তাঁর তিন বন্ধুর প্রতি তাঁর ক্রোধে জ্বলে উঠলেন, কারণ তারা জবাব দিতে না পেরেও আইউবকে দোষী করেছিলেন।
4. ইলীহূর বয়সের চেয়ে তাদের সকলের বয়স বেশি ছিল, তাই তিনি আইউবের কাছে কথা বলবার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।
5. পরে ঐ তিন ব্যক্তির মুখে আর জবাব নেই দেখে ইলীহূ ক্রোধে জ্বলে উঠলেন।
6. আর বূষীয় বারখেলের পুত্র ইলীহূ বললেন,আমি যুবক, আর আপনারা প্রাচীন,তাই সঙ্কুচিত ছিলাম,আপনাদের কাছে আমার মতামত প্রকাশ করতে ভয় করলাম।
7. আমি বললাম, বয়সই কথা বলুক,বছরের বাহুল্যই প্রজ্ঞা শিক্ষা দিক।
8. কিন্তু মানুষের মধ্যে রূহ্ আছে,সর্বশক্তিমানের নিশ্বাস তাদেরকে বিবেচক করে।
9. মহতেরাই যে জ্ঞানবান তা নয়,প্রাচীনেরাই যে বিচার বোঝেন তাও নয়।
10. অতএব আমি বলি, আমার কথা শুনুন;আমিও আমার মতামত প্রকাশ করি।
11. দেখুন, আমি আপনাদের কথার অপেক্ষা করেছি;আপনাদের যুক্তিতর্কে কান দিয়েছি,যখন আপনারা কি বলবেন, খুঁজছিলেন।
12. আমি আপনাদের কথায় নিবিষ্টমনা ছিলাম,কিন্তু দেখুন, আপনাদের মধ্যে কেউইআইউবের দোষ ব্যক্ত করেন নি,তাঁর কথার জবাব দেন নি।
13. তবে বলবেন না, আমরা জ্ঞান পেয়েছি;ওঁকে পরাস্ত করা আল্লাহ্রই সাধ্য, মানুষের অসাধ্য।
14. ফলে, তিনি আমার বিরুদ্ধে কিছুই বলেন নি,আমিও আপনাদের বক্তৃতায় তাঁকে জবাব দেব না।
15. ওঁরা ক্ষুব্ধ হলেন, আর জবাব দেবেন না,ওঁদের বলবার আর কথা নেই।
16. আর কেন অপেক্ষা করবো?ওঁরা তো কিছুই বলেন না,ওঁরা নীরব হলেন, কোন জবাব দিলেন না।
17. আমিও যথাসাধ্য জবাব দেব,আমিও আমার মতামত প্রকাশ করবো।