1. বাস্তবিক রূপার খনি আছে,সোনা পরিষ্কারের স্থানও আছে;
2. ধূলি থেকে লোহা সংগৃহীত হয়,গলিত পাথর থেকে ব্রোঞ্জ পাওয়া যায়।
3. মানুষ অন্ধকার ভেদ করে,অন্ধকার ও মৃত্যুচ্ছায়াতে যেসব পাথর আছে,সে প্রান্ত পর্যন্ত গিয়ে মূল্যবান পাথর অনুসন্ধান করে।
4. তারা বাসস্থান ছেড়ে খনি খনন করে,মানুষের চরণ তাদেরকে ভুলে যায়,তারা মানুষ থেকে দূরে ঝুলতে থাকে;
5. মাটি থেকে শস্যের উৎপত্তি হয়,তার নিম্নভাগ যেন আগুন দ্বারা লণ্ডভণ্ড হয়।
6. তার পাথর নীলকান্ত মণির জন্মস্থান,তার ধূলিকণার মধ্যে সোনা থাকে।
7. সেই পথ চিলের অজ্ঞাত,তা শকুনীর চোখের অগোচর;
8. অহংকারী সমস্ত পশু তা দলিত করে নি,কেশরী সেখানে পদার্পণ করে নি।
9. মানুষ দৃঢ় শৈলে হস্তক্ষেপ করে,পর্বতদেরকে সমূলে উল্টিয়ে ফেলে।
10. সে শৈলের মধ্যে স্থানে স্থানে সুরঙ্গ কাটে,তার চোখ সমস্ত রকম মণি দর্শন করে।
11. সে নদীর সমস্ত উৎস অনুসন্ধান করে,যা গুপ্ত আছে, তা সে আলোতে আনে।
12. কিন্তু প্রজ্ঞা কোথায় পাওয়া যায়?সুবিবেচনার স্থানই বা কোথায়?
13. মানুষ তার মূল্য জানে না,জীবিতদের দেশে তা পাওয়া যায় না।
14. জলধি বলে, তা আমাতে নেই;সমুদ্র বলে, তা আমার কাছে নেই।
15. তা উত্তম সোনা দিয়েও পাওয়া যায় না,তার মূল্য হিসেবে রূপাও ওজন করা যায় না।
16. ওফীরের সোনা তার সমতূল্য নয়,বহুমূল্য গোমেদক ও নীলকান্তমণিও নয়।