1. একদিন দাউদ জিজ্ঞাসা করলেন, “তালুতের পরিবারের কেউ কি বেঁচে আছে, যাকে আমি ভালবাসা দেখিয়ে যোনাথনের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে পারি?”
2. সীবঃ নামে তালুতের বাড়ীর একজন চাকর ছিল। লোকেরা তাকে ডেকে দাউদের কাছে নিয়ে গেল। বাদশাহ্ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি সীবঃ?”জবাবে সে বলল, “জ্বী হুজুর, আপনার গোলাম আমিই সেই সীবঃ।”
3. বাদশাহ্ জিজ্ঞাসা করলেন, “তালুতের পরিবারের এমন কেউ কি বেঁচে নেই যাকে আমি ভালবাসা দেখিয়ে আল্লাহ্র মত বিশ্বস্ত হতে পারি?”জবাবে সীবঃ বাদশাহ্কে বলল, “যোনাথনের একটি ছেলে এখনও বেঁচে আছেন, তাঁর দু’টা পা-ই খোঁড়া।”
4. বাদশাহ্ বললেন, “কোথায় সে?”সীবঃ বলল, “তিনি লো-দবারে অম্মীয়েলের ছেলে মাখীরের বাড়ীতে আছেন।”
5. তখন বাদশাহ্ দাউদ লো-দবারে লোক পাঠিয়ে অম্মীয়েলের ছেলে মাখীরের বাড়ী থেকে তাঁকে আনালেন।
6. তালুতের নাতি, অর্থাৎ যোনাথনের ছেলে মফীবোশৎ দাউদের কাছে গিয়ে তাঁর সামনে মাটির উপর উবুড় হয়ে পড়ে তাঁকে সম্মান দেখালেন। দাউদ বললেন, “মফীবোশৎ।”তিনি বললেন, “বলুন হুজুর, আমি আপনার গোলাম।”
7. দাউদ তাঁকে বললেন, “তুমি ভয় কোরো না। আমি তোমাকে ভালবাসা দেখিয়ে তোমার পিতা যোনাথনের প্রতি অবশ্যই বিশ্বস্ত থাকব। তোমার দাদু তালুতের সমস্ত জমি-জায়গা আমি তোমাকে ফিরিয়ে দেব, আর তুমি সব সময় আমার টেবিলে খাওয়া-দাওয়া করবে।”
8. এই কথা শুনে মফীবোশৎ মাটিতে উবুড় হয়ে বললেন, “আপনার এই গোলাম এমন কি যে, আপনি আমার মত একটা মরা কুকুরের দিকে খেয়াল করবেন?”
9. বাদশাহ্ তখন তালুতের চাকর সীবঃকে ডেকে বললেন, “তালুত ও তাঁর পরিবারের যা কিছু ছিল তা সব আমি তোমার মালিকের নাতিকে দিলাম।
10. তুমি, তোমার ছেলেরা এবং তোমার চাকরেরা তার জমি চাষ করে ফসল তুলবে যাতে তোমার মালিকের নাতির খাবারের যোগান থাকে; কিন্তু তোমার মালিকের নাতি মফীবোশৎ সব সময় আমার টেবিলে খাওয়া-দাওয়া করবে।” সীবের পনেরটি ছেলে এবং বিশজন চাকর ছিল।
11. এই কথা শুনে সীবঃ বাদশাহ্কে বলল, “আমার প্রভু মহারাজ তাঁর গোলামকে যা করতে বলবেন সে তা-ই করবে।” মফীবোশৎ এর পর থেকে বাদশাহ্র একজন ছেলের মতই বাদশাহ্র টেবিলে খাওয়া-দাওয়া করতে লাগলেন।
12. মিকাহ্ নামে মফীবোশতের একটি ছোট ছেলে ছিল; সীবের ঘরের সবাই ছিল মফীবোশতের চাকর।
13. বাদশাহ্র টেবিলে খাওয়া-দাওয়া করতেন বলে মফীবোশৎ জেরুজালেমে থাকতেন। তাঁর দু’টা পা-ই ছিল খোঁড়া।