7. যে সব নেতাদের উপর আমি আমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের পালন করবার ভার দিয়েছিলাম, বিভিন্ন জায়গায় বনি-ইসরাইলদের সংগে ঘুরে বেড়াবার সময় আমি সেই নেতাদের কাউকে বলি নি যে, কেন তারা এরস কাঠ দিয়ে আমার জন্য ঘর তৈরী করছে না।’
8. “এখন তুমি আমার গোলাম দাউদকে বল যে, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এই কথা বলছেন, ‘আমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের শাসনকর্তা হবার জন্য আমিই তোমাকে পশু চরাবার মাঠ থেকে, ভেড়ার পালের পিছন থেকে নিয়ে এসেছি।
9. তুমি যে সব জায়গায় গিয়েছ আমিও সেখানে তোমার সংগে গিয়েছি এবং তোমার সামনে থেকে তোমার সমস্ত শত্রুদের শেষ করে দিয়েছি। আমি তোমার নাম দুনিয়ার মহান লোকদের নামের মত বিখ্যাত করব।
12. তোমার আয়ু শেষ হলে পর যখন তুমি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে চলে যাবে তখন আমি তোমার জায়গায় তোমার বংশের একজনকে, তোমার নিজের সন্তানকে বসাব এবং তার রাজ্য স্থির রাখব।
13. তোমার সেই সন্তানই আমার সুনামের জন্য একটা ঘর তৈরী করবে। তার রাজ-সিংহাসন আমি চিরকাল স্থায়ী করব।
14. আমি হব তার পিতা আর সে হবে আমার পুত্র। যখন সে অন্যায় করবে তখন অন্য মানুষ যেমন শাস্তি পায় তেমনিভাবেই আমি তাকে শাস্তি দেব।
15. কিন্তু আমার মহব্বত আমি কখনও তার উপর থেকে তুলে নেব না, যেমন করে আমি তালুতের উপর থেকে তুলে নিয়েছিলাম আর তোমার পথ থেকে তাকে সরিয়ে দিয়েছিলাম।
16. তোমার বংশ ও রাজ্য তোমার সামনে চিরকাল স্থির থাকবে। তোমার সিংহাসন হবে চিরস্থায়ী।’ ”
17. এই দর্শনের সমস্ত কথাগুলো নাথন দাউদকে বললেন।
18. এই সব কথা শুনে বাদশাহ্ দাউদ তাম্বুর ভিতরে গেলেন এবং মাবুদের সামনে বসে বললেন, “হে আল্লাহ্ মালিক, আমিই বা কি আর আমার বংশই বা কি যে, তুমি আমাকে এত দূর পর্যন্ত নিয়ে এসেছ।
19. আর হে আল্লাহ্ মালিক, এও তোমার চোখে যথেষ্ট হয় নি; এর সংগে তোমার গোলামের বংশের ভবিষ্যতের কথাও তুমি বলেছ। হে আল্লাহ্ মালিক, এটাই যেন মানুষের জন্য তোমার ব্যবস্থা হয়।
20. “দাউদ তোমার কাছে আর বেশী কি বলতে পারে? হে আল্লাহ্ মালিক, তুমি তো তোমার গোলামকে জান।
21. তোমার কথার জন্য ও তোমার ইচ্ছা অনুসারে এই মহৎ কাজ তুমি করেছ আর তোমার গোলামকে তা জানিয়েছ।