5. তিনি হেবরনে থেকে এহুদা দেশের উপরে সাড়ে সাত বছর আর জেরুজালেমে থেকে সমস্ত ইসরাইল ও এহুদার উপরে তেত্রিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন।
6. বাদশাহ্ দাউদ ও তাঁর সৈন্যেরা যিবূষীয়দের হামলা করবার জন্য জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করলেন। যিবূষীয়রা জেরুজালেমে বাস করত। যিবূষীয়রা দাউদকে বলল, “তুমি এখানে ঢুকতে পারবে না; অন্ধ আর খোঁড়ারাই তোমাকে তাড়িয়ে দিতে পারবে।” তারা ভেবেছিল দাউদ সেখানে ঢুকতে পারবেন না।
7. কিন্তু দাউদ সিয়োনের কেল্লাটা অধিকার করে নিলেন; সেইজন্য ওটাকে দাউদ-শহর বলা হয়।
8. সেই দিন দাউদ বলেছিলেন, “যদি কেউ যিবূষীয়দের, অর্থাৎ সেই অন্ধ ও খোঁড়াদের আক্রমণ করতে চায় তবে তাকে পানির সুড়ংগ দিয়ে যেতে হবে। আমি তাদের ঘৃণা করি।” সেইজন্যই লোকে বলে, “অন্ধ আর খোঁড়ারা মাবুদের ঘরে ঢুকবে না।”
9. এর পর দাউদ সেই কেল্লায় বাস করতে লাগলেন এবং তার নাম দিলেন দাউদ-শহর। মিল্লো থেকে শুরু করে সেই কেল্লার চারপাশে তিনি শহর গড়ে তুললেন।
10. তিনি দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠলেন, কারণ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাঁর সংগে ছিলেন।
11. টায়ারের বাদশাহ্ হীরম দাউদের কাছে কয়েকজন লোক পাঠালেন এবং তাদের সংগে এরস কাঠ, ছুতার মিস্ত্রি ও রাজমিস্ত্রি পাঠিয়ে দিলেন। তারা দাউদের জন্য একটা রাজবাড়ী তৈরী করে দিল।
12. দাউদ তখন বুঝলেন যে, মাবুদ ইসরাইলের উপরে তাঁর রাজপদ স্থির করেছেন এবং তাঁর লোকদের, অর্থাৎ বনি-ইসরাইলদের জন্য তাঁর রাজ্যের উন্নতি করেছেন।
13. দাউদ হেবরন ছেড়ে জেরুজালেমে গিয়ে আরও স্ত্রী ও উপস্ত্রী গ্রহণ করলেন এবং তাঁর আরও ছেলেমেয়ের জন্ম হল।
14. জেরুজালেমে তাঁর যে সব ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল তাদের নাম হল সম্মূয়, শোবব, নাথন, সোলায়মান,